বাংলাহান্ট ডেস্ক: হিন্দি টেলিভিশন জগতের কালজয়ী সিরিয়াল ‘মহাভারত’ (Mahabharat)। ১৯৮৮ সালে বি আর চোপড়ার পরিচালনায় ছোটপর্দায় সম্প্রচার শুরু হয় এই মহাকাব্যের। সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন তাবড় তাবড় সব অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তবে দ্রৌপদীর চরিত্রে বিশেষ ভাবে নজর কেড়ে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)।
বাঙালি অভিনেত্রীর অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শকরা। জানলে অবাক হবেন, প্রথমে এই চরিত্রের জন্য মনোনীতই হননি রূপা। পরিচালক পছন্দ করেছিলেন জুহি চাওলাকে। কিন্তু জুহি সে সময়ে অন্য শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় রূপাকেই বেছে নেওয়া হয় দ্রৌপদী হিসাবে। আর এই একটি সিরিয়ালই কাঙ্খিত জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল রূপাকে।
অবশ্য দ্রৌপদীর কঠিন চরিত্রটি আয়ত্তে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমও করতে হয়েছিল রূপাকে। অভিনেত্রী এক সময় জানিয়েছিলেন, মহাভারত ধারাবাহিকে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দৃশ্যটি শুটিং করার সময় সত্যি সত্যিই চোখে জল এসে গিয়েছিল তাঁর। একেবারে বাস্তবের মতো করেই শুট করা হয়েছিল দৃশ্যটি। শুটিং করতে করতেই হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। আসলে দ্রৌপদীর চরিত্রটির সঙ্গে এতটাই জড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি যে তাঁর ব্যথা স্পর্শ করে গিয়েছিল রূপাকে।
অভিনেত্রী জানান, টানা এক ঘন্টা অঝোরে কাঁদার পর শান্ত হন তিনি। তাঁকে সামলানোর জন্য এগিয়ে আসেন খোদ পরিচালক ও অন্যান্য অভিনেতাদের। তবে তাঁর অভিনয় দক্ষতা এতটাই ছিল যে এতক্ষণ কাঁদার পরেও একবারেই সেই শট ওকে করেন রূপা।
অনেকেই জানেন না, ওই দৃশ্যটি শুট করার সময়ে ২৫০ মিটারের একটি শাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল যা বিশেষ অর্ডার দিয়ে বানানো হয়েছিল। তবে রূপাকে ওই শাড়ি পরতে হয়নি। তিনি ৬ মিটার লম্বা একটি শাড়ি পরেছিলেন। স্পেশ্যাল এফেক্টসের জন্য ওই বিশেষ শাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছিল।