বাংলাহান্ট ডেস্ক: মে মাসের শেষ দিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটাই নাম চর্চায়, রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi)। কেকে কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য রাতারাতি লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রূপঙ্করের বিতর্কিত ভিডিওর দিনেই যে কেকে প্রয়াত হবেন তা তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি। নেটজনতা থেকে শুরু করে শিল্পীদের রোষও এসে পড়েছিল রূপঙ্করের উপরে।
টানা কিছুদিন ধরে সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে গায়ক ও তাঁর গোটা পরিবারকে। পরিস্থিতি এখনো খুব একটা সুবিধের হয়নি। ট্রোল বন্ধ হয়নি এখনো। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করে চলেছেন রূপঙ্কর। ঝুঁকি নিয়েও লাইভ শো করেছেন তিনি সম্প্রতি। এবার ভারত সরকারের হয়ে একটি গানও রেকর্ড করে ফেলেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের হয়ে সম্প্রতি একটি গান গেয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। রূপঙ্করের পাশাপাশি গানটি রেকর্ড করেছেন সৌম্যজিৎ, সোনু নিগম, সুরেশ ওয়াডকারের মতো শিল্পীরা। বাংলা সহ হিন্দি, মরাঠি, তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, ওড়িয়া, গুজরাটি, অসমিয়া ও পঞ্জাবি ভাষায় রেকর্ড করা হয়েছে গানটি।
গান রেকর্ডিংয়ের একটি ভিডিও শেয়ার করে রূপঙ্কর লিখেছেন, দেশসেবার এমন একটি উদ্যোগে অংশ হতে পেরে তিনি সম্মানিত। অনেকে এখনো ট্রোল করে চলেছেন রূপঙ্করকে। কেউ বলছেন, গানটা তাঁর জন্যই ফ্লপ হবে। তবে অনেকে তাঁর পাশেও দাঁড়িয়েছেন। মানুষ নিজের ভুল থেকেই শেখে, এমনটাই মন্তব্য করে রূপঙ্করকে আরো এগিয়ে যাওয়ার সাহস যুগিয়েছেন শুভাকাঙ্খীরা।
ধীরে ধীরে অনেকেই রূপঙ্করের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন। কিছুদিন আগেই নিজের ছবিতে গান গাওয়াবেন বলে জানিয়ে প্রযোজক রানা সরকার জানান, ‘রূপঙ্করকে বয়কট করছি না’। আমি কেকে কে ভালোবাসি, ওনার গানও ভালোবাসি; রূপঙ্করদা কেকে সম্বন্ধে যা বলেছে সেটা সমর্থন করছি না, উনি ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন, প্রকাশ্যে বলেছেন উনি দুঃখিত’।
তিনি আরো লিখেছেন, কেকের মৃত্যুর জন্য রূপঙ্কর তো কোনোভাবে দায়ী নন। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে এত সমালোচনা, নিন্দারও মানে হয় না। তিনি নিজে হিন্দি ও বাংলা দুই গানই ভালবাসেন বলে দাবি করে রানা সরকার লিখেছেন, ‘রূপঙ্কর বাংলা সংগীত জগতের এক সম্পদ, শিল্পীকে বিচার করবো শিল্পের নিরিখে তার ব্যক্তিগত ত্রুটি বিচ্যুতি দিয়ে নয়।’