বাংলাহান্ট ডেস্ক : ৩৭ দিন পেরোলেও এখনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি ইউক্রেন ইস্যুতে। ফলে এখনও অব্যাহত দু দেশের যুদ্ধ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ভারতে এসেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেন ল্যাভরব। শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং একাধিক নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। ইউক্রেণ রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও একাধিক বিষয় আলোচিত হয়। সেখানে এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের মধ্যস্থতায় রাজি রাশিয়া এমনটাই জানানো হয় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে। তিনি এও জানিয়েছেন যে প্রতিরক্ষা খাতে ভারতকে যে কোনও পণ্য সরবরাহ করতে রাশিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গত কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতে এসেছেন একাধিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাকিস্তান, ইসরায়েল, চিনের পর বৃহস্পতিবার ভারতে আসেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ। এখনও অব্যাহত রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা সহ একাধিক দেশ। এহেন পরিস্থিতিতে রুশ বিদেশমন্ত্রীর ভারতে আগমন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে জানিয়েছিলেন পর্যবেক্ষক মহল। শুক্রবার ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সের্গেই ল্যাভরভ।
এদিন তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের মধ্যস্থতা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই রাশিয়ার। এতদিন ভারতের মধ্যস্ততার প্রস্তাব রাশিয়ার সামনে আনা হয়নি কারণ এখনও পর্যন্ত ভারতের অবস্থান সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ এবং ভারত আমেরিকার চাপের দ্বারা প্রভাবিতও হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ‘ভারত আমাদের কাছ থেকে যে কোনও পণ্য কিনতে চাইলে আমরা তা সরবরাহ করতে প্রস্তুত। আলোচনার জন্যও প্রস্তুত আমরা।’ রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে যে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে সেটিও এদিন উল্লেখ করেন ল্যাভরভ।
এদিন ইউক্রেন ইস্যু নিয়েও মুখ খুলতে দেখা যায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘এটা মোটেই যুদ্ধ নয়। এটা একটা বিশেষ অপারেশন। এর লক্ষ্য রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে বজায় রাখা। ইউক্রেনকে হামলার পর পশ্চিমা দেশগুলির আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে লড়াই করছে রাশিয়া।’
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে ইউক্রেনে মানবিক অবস্থার অবনতি এবং আরও বেশ কিছু বিষয়ে তাঁদের কথা হয় বলেই জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে আবার ভারত সফরের আগে চিন সফর সারেন রুশ বিদেশমন্ত্রী। চিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পর বেজিং জানিয়েছে যে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তারা। উল্লেখ্য, ভারত এবং চিনই একমাত্র শক্তিশালী দেশ যারা ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে রাশিয়ার নিন্দা করেনি। ফলে এই দুই দেশের হাত ধরে যে নিজের অর্থনীতির হাল ফেরাতে চাইছে রাশিয়া এমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের। অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদীর মধ্যস্থতায় তাঁর ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে যে যুদ্ধের একটি সমঝোতাতেও আসতে চাইছেন পুতিন তা বলাই বাহুল্য।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর