বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউক্রেনে (Eukraine) আক্রমণ আরও জোরদার করেছে রাশিয়া (Russia)। শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমের শহরগুলোতে রুশ বাহিনী ৭০টি মিসাইল ছুড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে চলেছে মস্কোর ড্রোন আক্রমণও।
গতকালের এই আক্রমণে এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ নাগরিক। মধ্য-ইউক্রেনের ক্রিভিহ রিহ-এ একটি আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিসাইলের আঘাতে। এ সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে। রুশ বাহিনীর এসব আক্রমণের লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের অবকাঠামো।
রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের খারকিভসহ অন্যান্য অঞ্চল সম্পূর্ণ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ইউক্রেন বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগনাত জানান, মোট ৭০টি মিসাইল ছুড়েছে রুশ বাহিনী। রাশিয়া-ইউক্রেনের উত্তর সীমান্তের কাছাকাছি সুমি অঞ্চলের পাশাপাশি পোলতাভা এবং ক্রেমেনচুকের কেন্দ্রীয় শহরগুলোও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাশিয়া ১ হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উইক্রেনকে লক্ষ্য করে। ইরানের তৈরি ড্রোন দিয়েও হামলা করেছে মস্কো।ইউক্রেনের অভিযোগ, তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে আক্রমণ চালিয়ে রাশিয়া শীতকালকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার তুর্ক বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেছেন, বিদ্যুৎ পরিষেবায় হামলা বাড়ালে ‘মানবিক পরিস্থিতি আরও গুরুতর অবনতির দিকে যেতে পারে’। সেইসঙ্গে আরও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানান, শহরের তিনটি এলাকায় আক্রমণ চালানো হয়েছে। জ্বালানি পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের মেট্রোলাইনগুলোও এখন বন্ধ আছে বলে জানান তিনি।
আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সি কুলেবা বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে ভয়ংকর আক্রমণ চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল এ সপ্তাহে বলেছিলেন, রুশ হামলায় সবগুলো তাপ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ব্যাপক ব্ল্যাকআউট হয়েছে এবং জল সরবরাহও মারাত্মক প্রভাবিত হয়েছে।