বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীন তার মানচিত্রে ভারতসহ অনেক দেশের অংশকে নিজেদের বলে দাবি করেছে। আর এবার এই বিতর্কিত বিষয়ে ভারতকে সমর্থন দিয়েছে রাশিয়া। রুশ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, চীন সবসময়ই বাড়িয়ে চড়িয়েই সবকিছু পেশ করে, কিন্তু এতে সত্য পাল্টে যায় না। চীন শুধু ভারত নয়, রাশিয়াকেও নিজেদের বলে দাবি করেছে। এ প্রসঙ্গে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রণালয় বলেছে, দুই দেশই ১৫ বছর আগে সীমান্ত বিরোধ মিটিয়ে ফেলেছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় বলেন যে, রাশিয়া ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। তিনি বলেন, “আপনাদের অবগতির জন্য বলছি যে, রাশিয়া-চীন সীমান্তেও কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা এই বিষয়টিকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করি না। আমরা দেখেছি যে ভারতও এই বিষয়ে বাড়াবাড়ি করে না।”
চীন তার মানচিত্রে ভারতের কিছু অংশ দেখানোর বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন মানচিত্রে যে কোনো এলাকা দেখাতে পারে, কিন্তু তাতে স্থল পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না। ডেনিস আলিপভ আরও বলেছেন যে, গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের মধ্যে সহিংসতার পর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
এই সময় মিডিয়া ডেনিস আলিপভকে ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে রাশিয়ার অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল। এ বিষয়ে আলিপভ বলেছেন যে কোনো অবস্থাতেই রাশিয়া ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করবে না। এটি ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় বক্তব্য হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ছিল যে, আমেরিকার সাথে ভারতের ঘনিষ্ঠতার কারণে রাশিয়া-চীন ঘনিষ্ঠতা বাড়বে।
বলে দিই, চীন তার মানচিত্রে রাশিয়ার আমুর অঞ্চলে অবস্থিত বলশোই উসুরস্কি দ্বীপেরও দাবি করেছে। বলশোই উসুরিস্কি দ্বীপটি আমুর এবং উসুরি নদীর সঙ্গমস্থলে এবং রাশিয়ান শহর খাবরোভস্কের কাছাকাছি। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া চীনের দাবি করা মানচিত্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই দেশের সীমান্ত বিরোধ মিটে গিয়েছে।
নিউজউইকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, “রাশিয়া ও চীন উভয় দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের সমাধান হয়েছে বলে মনে করে। ২০০৫ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তদনুসারে, বলশোই উসুরিস্কি দ্বীপ দুটি দেশের মধ্যে বিভক্ত হয়।”