বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাশিয়ার (Russia) হাইভোল্টেজ বৈঠকে উপস্থিত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jayshankar)। দেশ বিদেশের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন তিনি। দুই দেশের বাণিজ্যিক ইস্যু তো আছেই সেই সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উঠে আসে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কথাও। সেখানেই পুরনো বন্ধু নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কথা বলেছেন পুতিন (Vladimir Putin)। নতুন বছরে বন্ধুকে রাশিয়া আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, মোট পাঁচ দিনের সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেই সূত্রেই গত বুধবার ক্রেমলিনে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিদেশমন্ত্রী। কথাপ্রসঙ্গে উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘আমাদের বন্ধু নরেন্দ্র মোদী রাশিয়ায় আসলে খুব খুশি হব। প্লিজ ওঁকে বলবেন তাঁর আশায় আমরা রয়েছি। আমি জানি পরের বছর ভারতে ব্যস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। আমরা আমাদের বন্ধুদের সাফল্য তাতে কামনা করছি।’
আসলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে যখন সবাই জেরবার তখন মধ্যস্থতা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে বোঝাপড়া করে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এই নিয়ে আমরা একসঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।’
আরও পড়ুন: এবার অন্যরকম প্রশ্নপত্র! মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বড় আপডেট, কড়া সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ
এছাড়াও বৈঠকে এগিয়ে গিয়েছে দুই দেশের বাণিজ্যিক অবস্থার কথাবার্তা। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে এস জয়শংকর জানান, দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। রাষ্ট্রনেতারাও নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। সেই সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ভারতের সাথে তাদের সম্পর্ক দিনের পর দিন শক্ত হচ্ছে। সেই সাথে বাণিজ্যিক টার্ন ওভার এবং লাভের অঙ্কও দিন দিন বেড়ে চলেছে।
আরও পড়ুন : চাকরি দেওয়ার নামে ‘প্রতারণা’, তৃণমূল যুব নেতার লাখ টাকা হাতিয়ে গায়েব দলেরই কর্মী
ব্যবসায়িক সম্পর্ককে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে নতুন এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি। রাশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্তুরোভের সঙ্গে এস জয়শংকরের সাক্ষাৎকারে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এটি মূলত তামিলনাড়ুর কোদামকুলামে পরমাণু শক্তিকেন্দ্র তৈরির বিষয়ে। উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে জয়শংকর-পুতিন বৈঠকের গুরুত্ব যে অপরিসীম তা বলাই বাহুল্য। আমেরিকার চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করেই রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে নয়া দিল্লি।