বাংলাহান্ট ডেস্ক: চব্বিশের নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অন্যতম ভরসার জায়গা সায়নী ঘোষ (saayoni ghosh)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসানসোল দক্ষিণ থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। দিনরাত খেটে প্রচার করেও জয়ের মুখ দেখতে পাননি। কিন্তু অন্য দলের প্রার্থীদের মতো ভোটে হেরে রাজনীতিকে বিদায়ও জানাননি সায়নী। বরং দলের পাশে থেকে সাধ্যমতো কাজ করে গিয়েছেন।
তার প্রতিফলও পেয়েছেন অবশ্য। যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পদে অভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। তারপর থেকেই আরো বেড়েছে দায়িত্ব। সোশ্যাল মিডিয়া হোক বা বাস্তবের মঞ্চ, বিজেপির উদ্দেশে তোপ দাগতে কখনোই কসুর করেন না সায়নী। এ জন্য ট্রোলও কম হতে হয় না তাঁকে। কিন্তু নিজস্ব স্টাইলেই পালটা জবাব দিতে ছাড়েন না অভিনেত্রী।
সদ্য নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ছবি শেয়ার করেছেন সায়নী। হালকা সবুজ রঙা কুর্তি, গলায় জড়ানো দলের উত্তরীয়, চোখে মোটা করে আঁকা কাজল। মাইক হাতে মঞ্চে বক্তব্য রাখার একটি ছবি শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘উত্তোলন’। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে গরমে ঘেমেনেয়ে একাকার সায়নী।
ছবির কমেন্ট বক্সে নানা মুনির নানা মত থাকলেও একজনের প্রশ্ন বেশ অদ্ভূত। তিনি জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘আপনি সবসময় ঘেমে থাকেন কেন?’ যোগ্য উত্তর দিয়েছেন সায়নীও। তাঁর জবাব, ‘বিজেপির নেতাদের মতো শুধু ভোটের আগে ভাত খেতে যাইনা তাই। আমার নেত্রীর দ্বারা অনুপ্রাণিত। তৃণমূল স্তর থেকে, স্ট্রিট ফাইটার।’ সায়নীর এমন সপাট জবাবে বেশ খুশি নেটিজেনদের একাংশ।
দিন কয়েক আগেই বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে তোপ দেগে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সায়নী। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক সহ অভিনেত্রীর সঙ্গে পুরনো একটি শুটিংয়ের ছবি নিয়ে মিম তৈরি হচ্ছে নেটমাধ্যমে। অনেকেই কুৎসা রটাচ্ছেন। সায়নীর কথায়, ‘বেশিরভাগের মালিকই মালব্য’।
সায়নীর স্পষ্ট বক্তব্য, তিনি যেহেতু অভিনয় করেন তাই এমন এমন বহু ছবিই নানান জায়গাতে দেখতে পাওয়া যাবে। রয়েছে গুগলেও। সেখানে খুঁজলেও মিলবে। অভিনেত্রীর কটাক্ষ, ‘এটার রেশ ফিকে হলে, সেগুলো বের করে আনুন কিন্তু তাতেও চিড়ে ভিজবে না’।