বাংলাহান্ট ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে বরাবরই চমক দিতে ভালবাসেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। সেটা নিজের জন্য প্রচারই হোক বা দলীয় প্রার্থীর জন্য। বিধানসভা নির্বাচনের সময় রোদে তেতেপুড়ে, প্রবল ঝড়ের মধ্যেও প্রচার করতে দেখা গিয়েছে সায়নীকে। সাংবাদিকদের সামনেই হঠাৎ করে উর্দ্ধশ্বাসে দৌড় দিয়ে হতভম্ব করে দিয়েছেন। এবার পুরভোটের আগে যুব তৃণমূলের সভাপতির গলায় শোনা গেল ‘পুষ্পা’র সংলাপ।
রাত পোহালেই মুর্শিদাবাদের সাতটি পুরসভায় নির্বাচন। প্রচারে কোনো খামতি রাখেনি কোনো দলই। বুধবার সবুজ শিবিরের প্রার্থীদের হয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি সাংগঠনিক জেলাতে প্রচারে গিয়েছিলেন সায়নী। জঙ্গিপুর পুরসভা, বহরমপুর পুরসভা, বেলডাঙাতেও প্রচার সারেন তৃণমূলের এই তরুণ নেত্রী।
প্রচার সভায় কাজের কথাই সারলেন তিনি তবে গানের মাধ্যমে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্য বিভিন্ন গানের প্যারোডি। যেমন বিজেপি প্রার্থী ভোট চাইতে এলে গাইতে হবে, ‘তোমার দেখা নাই রে’। তৃণমূল প্রার্থী এলে কোন গান গাইবেন মানুষ? শিখিয়ে দিলেন সায়নী।
তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী ভোট চাইতে এলে গাইতে হবে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’। এরপরেই আবার গম্ভীর সায়নী। তাঁর অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে রাস্তায় নারকেল ভাঙতে গেলে রাস্তাই ভেঙে যায়। যোগীরাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়েও কটাক্ষ শানিয়েছেন সায়নী।
অভিনেত্রী তথা সভানেত্রীর কথায়, “এমন উন্নয়ন কেউ চায় না। তাই তো যেখানে যেখানে পা রেখেছি সবাই বলেছে, দেশ কি নেত্রী ক্যায়সি হো? মমতা ব্যানার্জী য্যায়সি হো।” এরপরেই পুষ্পার সংলাপ ধার করে তিনি বলে ওঠেন, অনেকেই জিজ্ঞাসা করবে যে কাকে ভোট দিলেন। থুতনির নীচে হাত টেনে সায়নী বলেন, “জোর গলায় বলবেন, মমতা ঝুঁকেগা নেহি”। বক্তব্য শেষে ‘কাঁচা বাদাম’ গেয়ে সায়নী দাবি করেন, ‘ঢপের’ বাদাম নেই তাঁদের কাছে। আছে শুধু কাজের বাদাম।