বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার দলের গোষ্ঠী হিংসার কথা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh) হারেননি। তাকে জেনেবুঝে হারানো হয়েছিল। এইদিন পশ্চিম বর্ধমানের দলীয় নেতৃত্বদেরও একহাত নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বেশ স্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়ে দিলেন যে, ‘ঘর শত্রু বিভীষণ’দের মোটেও সহ্য করবেননা তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। বিজেপি যেমন জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে তেমনই বিরোধীরাও শুরু করেছে নিজ নিজ স্ট্র্যাটেজি। আজ মঙ্গলবার থেকেই পর পর তিন দিন তিন জেলায় প্রশাসনিক সভা করবেন মমতা (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, এই তিন দিনে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসও করার কথা রয়েছে তার। তার আগেই পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর থেকে দাঁড়িয়ে একটার পর একটা তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এইদিন দুর্গাপুরের এই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, দলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়-সহ জেলা নেতৃত্বের অনেকেই। সেখানে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে চলছিল আলোচনা। তার মাঝেই উঠে আসে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার কথা। প্রসঙ্গ উত্থাপন হতেই বিরক্ত গলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত নির্বাচনে সায়নী হারেননি। তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হারানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : স্বপ্নের পথে আরও একধাপ, ‘গগনযান’-র জন্য এই ৪ মহাকাশচারীকে বেছে নিল ভারত, ঘোষণার পথে প্রধানমন্ত্রী
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বিধানসভায় আসানসোল দক্ষিণ থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদ সায়নী ঘোষ। জোরকদমে প্রচার সারার পরেও বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে হারাতে পারেননি তিনি। সেই সময় সায়নী জানিয়েছিলেন, তিনি দলীয় হিংসার শিকার। তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হারানো হয়েছে। আর এবার সেই একই কথা মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও। এইদিন তিনি বলেন, তার কাছে সব খবরই থাকে।
আরও পড়ুন : দু’বার পর্যুদস্ত, এবার বারাণসীতে মোদিকে টক্কর দিতে মাঠে কে? প্রার্থী বাছতে কালঘাম ছুটছে জোটের
গত সোমবার দূর্গাপুরের ঐ বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কেউ কেউ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকটি আসন বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হবে। যাতে ইডি-সিবিআই যেন তাকে কোনও ভাবে বিরক্ত না করে।’ তবে তার এই ভাবনা কখনোই বাস্তবায়িত হবেনা বলেই দাবি করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার চেষ্টা করলে তিনি তা সহ্য করবেননা।