বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকার সবুজ সাথী সাইকেল দেওয়া শুরু করে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে স্কুলের মাধ্যমে সরকার এই সবুজ সাথীর সাইকেল ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু এবার সেই সবুজ সাথীর সাইকেল (Sabuj Sathi Cycle) সাড়ে সাত হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরই বিরুদ্ধে।
বৈদ্যবাটির বনমালী ইনস্টিটিউশন স্কুলে এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষক পুরনো বই খাতার সাথে সাড়ে সাত হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন সবুজ সাথীর তিনটি সাইকেল। সোমবার সাইকেলগুলির খরিদ্দার যখন গাড়িতে অন্যান্য জিনিসপত্রের সাথে সাইকেলগুলি তুলেছিলেন সেই সময় ধরে ফেলেন এলাকাবাসীরা।
এরপর তাকে প্রহার করেন এলাকাবাসীরা। প্রধান শিক্ষকের কাছে স্থানীয়রা জানতে চান কেন সবুজ সাথীর সাইকেল বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে? প্রথমে প্রধান শিক্ষক এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তখন স্থানীয়রা তার গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় স্কুলের সামনে। ভাঙা জিনিসপত্রের সাথে সাইকেলগুলি যিনি কিনেছিলেন তার নাম সুজিত পাসোয়ান।
চন্দননগরের বাসিন্দা সুজিত বলেছেন, “ভাঙা জিনিসপত্রের সাথেই সাড়ে সাত হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি দুটি সাইকেল। আর একটা সাইকেল চেয়ে নিয়েছি আমার মেয়ের জন্য। এতো গন্ডগোল কেন হচ্ছে এই বিষয়ে বুঝতে পারছি না।” যদিও বনমালী ইনস্টিটিউশন স্কুলের প্রধানশিক্ষক অমরনাথ ঘোষাল টাকার বিনিময়ে সবুজ সাথীর সাইকেল বেচে দেওয়ার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
প্রধান শিক্ষকের কথায়, স্কুলে পড়ে থাকা কিছু পুরনো পাইপ্, লোহার জিনিস, বই-খাতা বিক্রি করা হয়। যে কারবারিকে বিক্রি করা হয়েছিল সে কিছু না বুঝেই গোডাউন থেকে ভুল করে সবুজ সাথীর তিনটে সাইকেল তুলে নেয়। তা দেখতে পেয়ে ওই কারবারিকে ধরে এলাকাবাসীরা মারধর করে। টাকার বিনিময়ে সাইকেল বিক্রি করা হয়েছে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।