বাংলাহান্ট ডেস্ক: ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (aindrila sharma)। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বিতীয়বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। জটিল অস্ত্রোপচারের পর এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ হলেও কেমো চলছে এখনো। যে মানুষগুলোর জন্য আজ ঐন্দ্রিলা যন্ত্রণা ভুলে হাসতে পারছেন আজ চিকিৎসক দিবসে তাঁদের উদ্দেশ্যে প্রণাম জানালেন কৃতজ্ঞ প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী (sabyasachi chowdhury)।
মে মাসের শেষের দিকে অস্ত্রোপচার করে টিউমার বাদ দেওয়া হয় ঐন্দ্রিলার। সার্জারি সহজ ছিল না একদমই। এমনকি জীবনের ঝুঁকিও ছিল অভিনেত্রীর। সবটা জেনেই সম্মতি দেন ঐন্দ্রিলা। অন্য রাজ্যে এমনকি অন্য দেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পরেও অস্ত্রোপচারকা শেষমেষ হয় কলকাতাতেই এবং তা সফলও হয়।
যিনি অস্ত্রোপচার করেছিলেন সেই চিকিৎসক ডাক্তার অমিতাভ চক্রবর্তীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সব্যসাচী লিখেছেন, ‘ঐন্দ্রিলার টিউমারটি হার্টের সাথে লেগে থাকায় অস্ত্রোপচার করা এতটাই জটিল ছিল যে আমরা প্রথমে দিল্লী, মুম্বাই ছাড়াও বোস্টন এবং লন্ডনে যোগাযোগ করেছিলাম। তবে অতিমারীর প্রকোপে এবং ওর শারীরিক অবনতির কথা ভেবে কোনোটাই সম্ভবপর হয়নি। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা হবে, কলকাতার বুকেই।
দীর্ঘ বোর্ড মিটিংয়ের পর অমিতাভবাবু এবং ওনার টীম সিদ্ধান্ত নেন তিনি ঝুঁকি নিয়ে এই অস্ত্রোপচার করবেন। ওকে সামনে বসিয়ে পরিষ্কার বলেন, “এতে তোমার লাইফ রিস্ক আছে। তোমার জীবন, তুমি সিদ্ধান্ত নাও”। ঐন্দ্রিলা এককথায় বলে, “আমি রাজি”। প্রায় ৭ ঘন্টা রবীন্দ্রনাথ টেগোর হাসপাতালের OT র সামনে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, অমিতাভবাবু হাসিমুখে দরজা খুলে আমায় বলেন, “দেখে যাও কি করেছি”। আমার প্রিয় শহর কলকাতাকে অবমূল্যায়ন করার জন্য নিজেই নিজের কাছে লজ্জিত হয়েছিলাম সেই দিন।’
সব্যসাচী ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডাক্তার সুমন মল্লিককেও। ঐন্দ্রিলার রেডিয়েশনের এবং কেমোথেরাপির দায়িত্ব তাঁর এবং তাঁর টিমের উপর। পরপর দুবার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর ডাক্তার সুমন মল্লিকই কেমো করিয়েছেন ঐন্দ্রিলার। এমনই এখনো তাঁর কাছেই কেমো নিচ্ছেন অভিনেত্রী। সব্যসাচী ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি ঐন্দ্রিলার বাবা ডাক্তার উত্তম শর্মাকেও। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে ভাবী শ্বশুরের থেকেই তিনি পরামর্শ নেন বলেও জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলা।