বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমাদের দেশে নারী সুরক্ষা সব সময়ই প্রশ্নের মুখে। অনেক ক্ষেত্রেই পথচলতি নারীদের হতে হয় ইভটিজিং, শারিরিক লাঞ্ছনা এমনকি ধর্ষনেরও শিকার। এবার সেই ধর্ষকামদের থেকে নারীদের মুক্ত করতেই এক বিশেষ সেফটি জুতো আবিষ্কার করলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের বাপ্পা রায়।
এই জুতোর মধ্যেই থাকবে জিপিএস সিস্টেম, সহজেই ট্র্যাকিং করে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে নিগৃহীতার কাছে। রয়েছে ছশো ভোল্টের এসি কারেন্ট দিয়ে দুস্কৃতীকে অক্ষম করবার ব্যবস্থাও। এই কাজে বাপ্পাকে সহযোগিতা করেছেন ওই বিভাগেরই ছাত্রছাত্রী পুলক পাল, প্রতীম ঘোষ, সাইরিন শবনম, জাহাঙ্গীর আলম, উত্সব রায়, সায়ন সাহা ও প্রিয়াঙ্কা পাল। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জুতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিআরডিও-এর সেন্টারে উপস্থাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
হাই ভোল্টেজের সাথে এই জুতোর মধ্যে জিপিএস সিস্টেম বসিয়ে খুব সহজে ট্র্যাকিং করা যাবে। জুতোর ভেতরের সার্কিটে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি, যার সাড়ে চার ভোল্টকে প্রয়োজন হলেই ছয়শো ভোল্টের ( এসি) বিদ্যুতে রূপান্তরিত করা যাবে। আর এর বিপুল বিদ্যুতের ধাক্কা সওয়া সম্ভব নয় দুষ্কৃতীর পক্ষে।
আর এই ছয়শো ভোল্টের জুতোর ধাক্কা খাওয়ার পর কোনও দুস্কৃতীই আর কোনও মেয়ের ধারেকাছেও ঘেষবেনা বলে আশাবাদী তিনি। সার্কিটটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে মাত্র ১৪০ টাকা। সার্কিটের ভেতরে রয়েছে ডায়োড, ট্র্যানজিস্টর, ট্র্যান্সফরমার,রোধ। ব্যাটারি চার্জিং হবে হাঁটতে হাঁটতেই। জুতোর ভিতরে থাকা সুইচটি অন করলেই ৬০০ volt এর ওপর বিদ্যুৎ শক লাগবে ধর্ষকামের। দামও হবে মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই।