বাংলাহান্ট ডেস্ক: সাহারা গ্রুপের (Sahara Group) লগ্নিকারীদের জন্য রয়েছে সুখবর। শীঘ্রই তাঁরা তাঁদের আটকে থাকা টাকা ফেরত পেয়ে যেতে চলেছেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার কথা বলেছে। যাতে তারা সহজেই ১.১ কোটি লগ্নিকারীর বকেয়া অর্থ শোধ করে দিতে পারে। সাহারা গ্রুপের চারটি কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে লগ্নিকারীদের কষ্টার্জিত উপার্জন বহু বছর ধরেই আটকে রয়েছে।
এই টাকা ফেরত পেতে বিভিন্ন দরজায় কড়া নেড়েছেন তাঁরা। 2012 সালে সাহারা হাউজিং ও সাহারা রিয়্যাল এস্টেটকে ২৫ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।্২০০৮ সালের মার্চ থেকে ২০৯৯-এর অক্টোবরের মধ্যে তিন কোটি লগ্নিকারীর থেকে এই টাকা তারা সংগ্রহ করেছিল বলে খবর। এখনও পর্যন্ত এই সংস্থাগুলি ১৫ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৪১০ কোটি টাকার সুদ পাওয়া গিয়েছে।
এভাবে মোট ২৪ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা সাহারা-সেবি ফান্ডে জমা পড়েছে। টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও ২৩ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট করা রয়েছে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি সমবায় মন্ত্রকের তরফে উপস্থিত হয়ে আদালতকে জানান যে চারটি বহু-রাষ্ট্রীয় সমবায় ৯ লক্ষ লগ্নিকারীর থেকে মোট ৮৬ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।
এই সমবায়গুলি হল: সাহারা ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি, সাহারা ইউনিভার্সাল মাল্টিপারপাস সোসাইটি, হামারা ইন্ডিয়া ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং স্টারস মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি। এর মধ্যে ৬২ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল অ্যাম্বি ভ্যালিতে। মন্ত্রক জানিয়েছে, দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সাহারা গ্রুপ সমবায় সমিতিগুলি এই বিষয়ে সহযোগিতা করেনি।
একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দিতে অস্বীকার করেছে তারা। সংসদে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও অবধি মোট ৮১.৭০ কোটি টাকার জন্য ৫৩ হাজার ৬৪২টি অরিজিনাল বন্ড সার্টিফিকেট এবং পাস বইয়ের সঙ্গে জড়িত ১৯ হাজার ৬৪৪টি আবেদন পেয়েছে সেবি। এর মধ্যে তারা মোট ১৩৮.০৭ কোটি টাকা ১৭ হাজার ৫২৬ জন বন্ড হোল্ডারকে ফেরত দিয়েছে। তাঁরা ৪৮ হাজার ৩২৬টি অরিজিনাল বন্ড সার্টিফিকেট ও পাস বই রেখেছিলেন। অনেক বন্ড হোল্ডার সেবির প্রশ্নের জবাব দেননি। তাই তাঁদের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।