বাংলা হান্ট ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর (Retirement) নিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের (Indian Football) ‘পোস্টার বয়’ সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। ৩৯ বছর বয়সে এসে অবশেষে দীর্ঘ ১৯ বছরের সফরে ইতি টানলেন ভারতীয় ফুটবলের এই এই কিংবদন্তি তারকা। শুরুটা হয়েছিল ২০০৫ সালে।
চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম অভিষেক হয়েছিল সুনীল ছেত্রীর। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারের দেড়শ ম্যাচে ৯৪ টি গোল রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। যা ভারতীয় জার্সিতে সর্বকালীন রেকর্ড। তাই এদিন তিনি অবসর ঘোষণা করায় মন খারাপ সারা দেশের ফুটবল প্রেমীদের।
তছাড়া সুনীল ছেত্রী ছাড়া ভারতীয় ফুটবলের কথা যেন ভাবাই যায় না! এদিন তিনি অবসর ঘোষণা করার পর কার্যত মুষড়ে পড়েছে ভারতীয় ক্রিয়া জগত। তবে ফুটবল তারকার এই সিদ্ধান্ত কিন্তু কোন একদিনের নয়, এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সুনীল ছেত্রী জানিয়েছেন ‘প্রায় এক মাস ধরে অবসরের চিন্তাভাবনা করছিলাম। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম। আর নয়, আমার অনুভূতি ও উপলব্ধি থেকেই এই সিদ্ধান্ত। মনে হয় এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।’
সুনীল ছেত্রী অবসর ঘোষণা করার পর তাঁর অসংখ্য অনুরাগীরা তো বটেই এদিন ভারাক্রান্ত মনের কথা জানিয়েছেন তাঁর শ্যালক তথা অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য-ও (Saheb Bhattacharjee) । জামাইবাবু সুনীল ছেত্রীর অবসর গ্রহণের কথা শোনার পর থেকেই বেজায় মন খারাপ অভিনেতার।
আরও পড়ুন: প্রেম করে বিয়ে, ২৭ বছর ঘর করলেন হিন্দু বাড়ির মেয়ের সাথেই! মীরের বউকে চেনেন?
তাই এদিন একরাশ মন খারাপের সাথেই সংবাদ প্রতিদিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাহেব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘উনি আরও দুই তিন বছর খেলতে পারতেন। তবে আমার মনে হয় সঠিক সময়ই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু ৯ নম্বর জার্সির সেই দুর্দান্ত পারফরমেন্স মাঠে আর দেখা যাবে না এটাই কষ্টের।’
সাহেব এদিন জানান সুনীল ছেত্রীর অবসর গ্রহণের কথা শোনা মাত্রই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর বাড়ির লোকজন। অভিনেতার কথায়, ‘আমার মা বোন সকলেই কেঁদে ফেলেছিলেন। সুনীলের মাও কেঁদে ফেলেন প্রথমে এই কথা শুনে।’ প্রসঙ্গত এতদিন খেলার চাপে ছেলে ধ্রুবকে সময় দিতে পারতেন না সুনীল। তবে সাহেব মনে করছেন এবার তাঁর জামাইবাবু সময় দেবেন ছেলেকে। তবে এখানে বলে রাখি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিলেও ক্লাবের হয়ে এখনও খেলবেন ‘ক্যাপ্টেন’।