ভারতে করোনা আক্রান্ত চারশো ছাড়িয়ে গেছে। আর এরমধ্যে পরিস্থিতি যতদিন এগোচ্ছে ততোই যেন আরো খারাপ হচ্ছে।এখন, সরকার যখন জনগণকে সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশে করোনার ক্রমবর্ধমান মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক রাজ্য এবং জেলায় তালাবন্ধ হতে বসেছে। আর ইতিমধ্যে ভারতের সব রাজ্যে আজ থেকে শুরু হতে চলছে লকডাউন। দিল্লিতেও 31 মার্চ পর্যন্ত লকডাউন রয়েছে। যদিও ভারতে করোনাতে সবথেকে বেশী আক্রমণ হয়েছে মহারাষ্ট্রে।
সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মামলা রয়েছে মুম্বাইতে । পুরো দেশের কথা বললে, দিল্লির মুম্বাই সহ পুরো দেশের ১৬ টি রাজ্যের ৩৩১ টি শহরে লকডাউন রয়েছে। সিএএ নিয়ে বিগত কয়েক মাসে প্রায় কয়েক কোটি মানুষকে আন্দোলনে লিপ্ত হতে দেখা গেছে। আর তার মধ্যে করোনা এই আন্দোলনে এমন থাবা বসিয়েছে যে এলাকার রাস্তা ঘাট প্রায় জনসাধারণহীন হতে বাধ্য হয়েছে।
সোমবার সকালের দিক থেকে শাহীনবাগে সম্পূর্ণ জন শূন্য অবস্থায় দেখা গেছে। আজ সকালে সেখানে মাত্র ২-৩ জনকে বসে থাকতে দেখা গেছে। সেখানে রয়ে গেছে ফাঁকা চেয়ার, টেবিল আন্দোলনকারীদের ছবি এবং পতাকা। কিন্তু সিএএর উদ্ধৃতি দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনও আওয়াজ তোলার কেউ নেই। এলাকা এতটা ফাঁকা যে মানুষের কোলাহল নেই, নেই স্লোগান. আর এই পরিস্থিতি আরো একবার বুঝিয়ে দিলো যে এই আন্দোলন এখন প্রায় বন্ধ হতে বসেছে।
সম্প্রতি কলকাতা সহ বেশকিছু জায়গায় CAA নিয়ে যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল তার উপর কেন্দ্র সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। কারণ এই সমস্থ জমায়েত দেশের জন্য একটা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দিল্লীতে একজন মহিলাকে পাওয়া গেছে যিনি CAA বিরোধী আন্দোলের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং ৫০০ জনকে সংক্রমিত করেছেন। তাদের আপাতত খোঁজার চেষ্টা চলছে।