নামেই নবাব, হাত খরচ টুকুও পেতেন না! সাধারণ ভাবে বড় হয়েছেন, নিজের মুখেই জানান সইফ

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের অভিনেতা এবং করিনা কাপুর খানের স্বামী হওয়ার পাশাপাশি আরো একটি পরিচয় আছে সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan)। তিনি পতৌদির নবাব। বংশ পরম্পরায় নবাব হয়ে আসছেন তাঁরা। পতৌদিতে তাঁদের পিতৃপুরুষের মহল এখনো একটা দর্শনীয় স্থান। সইফ করিনাও মাঝে মাঝেই রাজকীয় আপ‍্যায়ণে দিন কাটিয়ে আসেন সেখানে।

এখনো পর্যন্ত নবাব তকমা নিয়ে খোঁটাও শুনতে হয় সইফকে। কিন্তু অভিনেতা জানান, ছোটবেলায় কোনোদিন মনেই হয়নি যে তাঁরা অভিজাত বংশ। স্বাচ্ছন্দ‍্য, সুযোগ সুবিধা সবই ছিল। কিন্তু বাহুল‍্য ছিল না কিছুর। আর পাঁচজন ছেলেমেয়ের মতোই বড় হয়েছেন সইফ।

Interesting things to know about Saif Ali Khan and Kareena Kapoor Khans stunning Pataudi Palace 1
পতৌদি পরিবারের নবাব ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদিকে বিয়ে করেন বাঙালি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। তাঁদের বড় ছেলে সইফ আলি খান। বাবা ১৯৭১ পর্যন্ত নবাব তকমা ব‍্যবহার করলেও ছেলে ব‍্যবহার করেননি কখনো। তাঁর নামের সঙ্গে এমনিই জুড়ে গিয়েছে নবাব।

saif kareena karishma
কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজের ছোটবেলার কথা বলেছিলেন সইফ। তাঁর কথায়, “ছোটবেলায় সত‍্যিই প্রচুর স্বাচ্ছন্দ‍্যের মধ‍্যে বড় হয়েছি। কিন্তু টাকার কথা বলতে গেলে, আমার বাবা মা কোনোদিন আমাকে হাত খরচ দেননি। অন্তত পাশের বাড়ির ছেলেটার থেকে তো বেশি নয়ই। আমি সাধারণ ভাবেই বড় হয়েছি। কোনো নবাবি ব‍্যাপার ছিল না। ওসব সিনেমাতেই হয়। আমার বাবা ছিলেন শেষ নবাব। উনি নিজেও নিজেকে সেটা মনে করতেন না। আমার এই ভাবমূর্তিটা নবাব হওয়ার জন‍্য নয়, আমি তারকাসুলভ জীবনযাপন করি তাই। মাঝে মাঝে ভাবমূর্তিটা বদলানো যায় না। তাতে অবশ‍্য কোনো ক্ষতি নেই। ভাবমূর্তিটা সত‍্যি হলেও কিছু যায় আসত না।”

সইফ আরো বলেছিলেন, মা শর্মিলা সুপারস্টার ছিলেন। কিন্তু বাবা মনসুরের জীবনটা আরো বেশি নাটকীয় ছিল। জীবনে অনেক উত্থান পতন দেখেছেন তিনি। ক্রিকেট খেলতে গিয়ে একটা চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সইফের ঠাকুরদার কাছ থেকেও অনেক কিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তবুও মনসুর আলি খান স্টাইলিশ জীবনযাপন করতেন। সইফের মতে বাবার জীবন নিয়ে দারুন বায়োপিক হবে। তবে শুধু হিন্দি ভাষায় করলে হবে না। দ্বিভাষী ছবি হতে হবে।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর