বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাদক মামলায় নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) সমন পাওয়ার পরেই মা অমৃতা সিং ও ভাই ইব্রাহিমের সঙ্গে গোয়া থেকে মুম্বই ফিরতে দেখা যায় সারা আলি খানকে (sara ali khan)। মুম্বই ফেরার একদিন পরেই NCBর জেরার সম্মুখীন হন অভিনেত্রী। অপরদিকে এই সময় দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী করিনা কাপুর খানকে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দেন সইফ আলি খান (saif ali khan)।
শোনা যায়, সারার থেকে দূরে থাকতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন সইফ। এই নিয়ে গুঞ্জন চরমে পৌঁছালে মুখ খুলতে বাধ্য হন সইফ। এক সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানান, তাঁর তিন ছেলে মেয়েকেই সমান ভাবে ভালবাসেন তিনি। তাদের জন্য সবসময়ই হাজির রয়েছেন তিনি।
সইফ এও স্বীকার করেন যে তিনি তৈমুরের সঙ্গে বেশি সময় কাটান। কিন্তু ইব্রাহিম ও সারার সঙ্গে সবসময়ই যোগাযোগ রাখেন। তিন ছেলে মেয়ের জন্যই তাঁর হৃদয়ে আলাদা আলাদা জায়গা রয়েছে। অভিনেতার কথায়, যদি তিনি সারাকে নিয়ে কোনো বিষয়ে চিন্তিত থাকেন তবে তৈমুর তাঁর মন ভাল করতে পারে না।
সইফ আরো বলেন, তাঁর তিন সন্তানের বয়স আলাদা আলাদা। তাই তাদের আলাদা ভাবে যত্ন করতে হয়। সারা ও ইব্রাহিমের সঙ্গে তিনি ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে পারেন বা ডিনারে বসে আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু সেটা তৈমুরের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল মেয়ের এই দুরবস্থার জন্য নাকি প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতা সিংকেই দুষছেন সইফ। মায়ের জন্যই নাকি মেয়ের এই দুর্দশা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এর আগে জানা গিয়েছিল, সমন পাওয়ার পর থেকেই ফোনে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন অভিনেতা। সব রকম আইনি সাহায্যও মেয়েকে করার কথা দেন সইফ আলি খান।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই কথোপকথনের সময়ই সইফ ও অমৃতার সম্পর্কের তিক্ততা চরমে পৌঁছায়। যাবতীয় দোষ প্রাক্তন স্ত্রীর ঘাড়েই চাপান সইফ। পালটা কথা শোনান অমৃতাও। এরপরেই নাকি করিনার সঙ্গে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, NCBর জেরায় সারা জানান ২০১৮ তে কেদারনাথ ছবির শুটিংয়ের সময় সুশান্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুরু হয়। এমনকি অভিনেতার সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কও শুরু করেছিলেন তিনি। NCBর জেরায় সারা বলেন, “২০১৮ সালে কেদারনাথ ছবির শুটিংয়ের সময় থেকে আমার ও সুশান্তের মধ্যে সম্পর্কের সূত্রপাত। ছবির শুটিং শেষ হওয়ার পর আমি সুশান্তের সঙ্গে ওর কেপ্রি হাউসের বাড়িতে থাকতেও গিয়েছিলাম।”