৩ বিজেপি নেতার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ডঃ সৈফুল্লাহকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই নিকেশ করল সেনা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদ্দিনের (Hizbul Mujahideen) টপ কম্যান্ডার সৈফুল্লাহ মীরকে (Saifullah Mir) জম্মু কাশ্মীরে একটি এনকাউন্টারে নিকেশ করেছে সেনা। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ আর সিআরপিএফ এর যৌথ অভিযানে এই সফলতা হাসিল হয়েছে।

কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার বলেন, হিজবুল মুজাহিদ্দিনের টপ কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকুর মৃত্যুর পর সৈফুল্লাহকে সংগঠনের প্রধান বানানো হয়েছিল। এবার সেই সৈফুল্লাহকেও জয়েন্ট অপারেশনের পর নিকেশ করা হয়েছে। তিনি জানান, সৈফুল্লাহ-এর এক সঙ্গিকে জীবিত গ্রেফতার করা হয়েছে। সেনা আর পুলিশের কাছে এটি একটি বড় সফলতা। উনি আরও বলেন, জম্মু কাশ্মীরে পুলিশের নেটওয়ার্ক মজবুত থাকার কারণে এই অভিযান সফল করা সম্ভব হয়েছে।

সৈফুল্লাহও রিয়াজ নাইকুর মতো কুখ্যাত জঙ্গি ছিল। সেনা তাকে A++ ক্যাটাগরিতে রেখেছিল। কিন্তু জঙ্গি যতই কুখ্যাত হোক না কেনও, ভারতীয় সেনার হাত থেকে বেঁচে যাওয়া খুবই মুশকিল। জানিয়ে দিই, সৈফুল্লাহকে জঙ্গিদের ডাক্তারও বলা হত, কারণ সে মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশোনা করেছিল।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সৈফুল্লাহ জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা ছিল। সে প্যারামেডিক্যাল ট্রেনিং নিয়েছিল। সৈফুল্লাহ মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট হিসেবেও কাজ করেছে। ২০১২ সালে সে জঙ্গির রাস্তা আপন করে নেয় আর হিজবুল মুজাহিদ্দিনে যোগ দেয়। গত আট বছর ধরে সৈফুল্লাহ দক্ষিণ কাশ্মীরে সক্রিয় ছিল।

সৈফুল্লাহ এনকাউন্টারে আহত জঙ্গিদের চিকিৎসা করত। আর তখনই জঙ্গিরা সৈফুল্লাহর ব্রেন ওয়াশ করে, এরপরই সে জঙ্গিপন্থা অবলম্বন করে নেয়। ২০১৭ সালে যখন রিয়াজ নাইকুকে হিজবুলের কম্যান্ডার বানানো হয়েছিল, তখন সৈফুল্লাহকে ডেপুটি কম্যান্ডারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রিয়াজের মৃত্যুর পর হিজবুলের কম্যান্ডারের সবথেকে বড় দাবীদার সৈফুল্লাহই ছিল। আর এই কারণেই তাকে হিজবুলের চীফ বানানো হয়।

জানিয়ে দিই, দুদিন আগে জম্মু কাশ্মীরে বিজেপির তিন নেতার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল হিজবুল মুজাহিদ্দিন সংগঠন। সেই ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হিজবুলের কম্যান্ডার সৈফুল্লাহকে নিকেশ করে সেনা।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর