দুর্গাপুজো আয়োজন করতেও এত্ত বাধা? বিতর্কের মাঝেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার নিয়ে বড় কথা বলে দিলেন সজল ঘোষ

Published on:

Published on:

Santosh Mitra Square

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে মায়ের আরাধনা অন্যদিকে অপারেশন সিঁদুর। এই দুই মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে এবারে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে (Santosh Mitra Square)। কলকাতার নামকরা সেরা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। নিজেদের অভিনব প্রয়াসে প্রত্যেক বছর দর্শনার্থীদের ভিড় টানে। গতবার পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের ঘটনায় এই পুজো নিয়ে বাড়তি চর্চা যেমন শুরু হয়েছিল, এই বছরও প্রায় একই ছবি ধরা পড়ল লেবুতলা পার্কের পুজোতে। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে।

এবারেও চর্চায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে (Santosh Mitra Square)

গেরুয়া শিবিরের নেতা সজল ঘোষের পুজো বলে খ্যাত সন্তোষ মিত্র স্কোরার। উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম মুখ বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ এবার সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, কলকাতা পুলিশের দিকে। শুধুমাত্র প্রতিশোধস্পৃহা থেকে পরিকল্পনামাফিক এই পুজো পুলিশ পন্ড করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবারই খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধন করেন। আর তার পর থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছে বলে দাবি সজলবাবুর। সজল ঘোষের কথায়, ‘‘পুলিশ ইচ্ছা করে নানা জটিলতা তৈরি করছে এই পুজোয়। আমরা পুলিশকে বলেছি, লিখিত নির্দেশ দিন, আমরা পুজো বন্ধ করে দেব। কিন্তু তারা বলছে ‘চালানো যাবে না’, আবার বলছে ‘চালাতে দেওয়া হবে না নয়’।

ইতিমধ্যেই পুজোর লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে মুচিপাড়া থানার নোটিস ধরিয়েছে পুলিশ। যেখানে সংস্থার লাইসেন্স, উদ্যোক্তাদের সঙ্গে চুক্তিপত্র, জিএসটি-সংক্রান্ত নথি এবং সাউন্ড লিমিট সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা করার কথা বলা হয়েছে। দুর্গাপুজো আয়োজন করতেও হলে কি এখন এইসব বাধা পেরোতে হবে? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

Santosh Mitra Square

আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! আড়াই কেজির চওড়া পেটির ইলিশের দাম ১৪০০০ টাকা, হচ্ছে নিলাম

সজল ঘোষের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের এলাকায় নিযুক্ত সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে বসিয়ে দিয়েছে। কারণ পুলিশের ধারণা ওই সিভিকরা উদ্যোক্তাদের পক্ষ নিয়ে কথা বলবেন। দুর্ঘটনার অজুহাতে উদ্যোক্তাদের দোষী সাব্যস্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ নেতার। তিনি আরও বলেন, সরকার-বিরোধী আন্দোলনের সময় যেমন বিশাল ব্যারিকেড বসানো হয়, তাদের পুজোর ক্ষেত্রেও তেমনটা করা হয়েছে। যদিও উদ্যোক্তাদের সমস্ত বক্তব্য মানতে নারাজ কলকাতার পুলিশ কমিশনার।