বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিগ বসের (Bigg Boss) প্রত্যেক সিজনেই বিতর্কের মাত্রা বাড়তে থাকে। কিন্তু বিগ বস ১৬ এদিক থেকে আগের সব সিজনকেই ছাপিয়ে গিয়েছে। মাত্র একজন প্রতিযোগীকে ঘিরে এবারে যত জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি সাজিদ খান (Sajid Khan)। বলিউডের এই পরিচালকের বিরুদ্ধে এক নয়, একাধিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে।
এমন একজন মানুষকে বিগ বসে জায়গা কেন দেওয়া হচ্ছে? এমনি প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন একাধিক অভিনেত্রী। সম্প্রতি দিল্লির মহিলা কমিশনের তরফে কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকেও চিঠি দিয়ে সাজিদকে শো থেকে বের করে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
প্রায় সকলেই যখন বিপক্ষে যাচ্ছে, তখন এই প্রথম কাউকে পাশে পেলেন সাজিদ। ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, যা শাস্তি পাওয়ার সাজিদ পেয়ে গিয়েছেন। তাঁরও টাকা রোজগার করে পেট চালানোর অধিকার আছে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, সাজিদ খানকে এক বছরের জন্য ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল। এক বছর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কারোর সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না তিনি, এমনটাই নির্দেশ ছিল। নির্দেশ মেনে নিয়েছিলেন সাজিদ। ওই এক বছর তাঁর কাজকর্ম, স্বভাব চরিত্রের বদল দেখে খুশি হয়েছিল FWICE। ২০১৯ এর মার্চে সাজিদের উপর থেকে ব্যান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবার তিনি রোজগার করতে বিগ বসে ঢুকেছেন। এতে FWICE কোনো দোষ দেখতে পাচ্ছে না সাজিদের।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরেই একের পর এক অভিনেত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগে সাজিদের মাথার উপর ঝুলছে বেশ কয়েকটি ‘মিটু’ মামলা। সেই সাজিদ খান বেশ কিছুদিন মুখ লুকিয়ে থাকার পর হঠাৎ করেই প্রকাশ্যে। তাও আবার বিগ বসের মঞ্চে, সলমন খানের পাশে। এ বিষয়ে জল্পনা বিতর্ক আকাশ ছ়ুঁলেও এখনো মুখ খোলেননি পরিচালক নিজে।