বাংলাহান্ট ডেস্ক : মোরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় কিছু আপত্তিজনক টুইট। এবং তার জেরেই তিন দিনের মধ্যে দু’বার গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)। দ্বিতীয়বার গ্রেফতারির পর আবারও জামিন পেয়ে ট্যুইট করে সাকেত বলেন, বিজেপির (BJP) ‘মারাত্মক ভুল’ করবে যদি তারা মনে করে যে বারবার গ্রেফতার করে আমার মনোবল ভেঙে দেবে। আমি আরও শক্ত হাতে বিজেপির খারাপ কাজের বিরোধিতা করব।’ শুক্রবার জামিন পেয়েই তৃণমূল নেতা বলেন যে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলির কোনও ভিত্তিই ছিল না। সাকেতের দাবি তিনি অন্য কারও করা একটি টুইট শেয়ার করেছিলেন মাত্র।’ তিনি বলেন, ‘সেই ব্যক্তিটি কে, তা পুলিস জানেই না।’
তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কমিশনকে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানায় জোড়া ফুল শিবির। মোরবি নিয়ে ট্যুইটের জেরে গ্রেফতার হন সাকেত। তৃণমূলের দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে সাকেতকে। খারাপ সময়ে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলে ধন্যবাদও জানালেন তিনি। সাকেত এদিন বলেন মোরবি ট্যুইটের জন্য তাকে তিন দিনে দু’বার গ্রেফতার করা হয়। অথচ ওরেভা কোম্পানির মালিক যারা এই সেতু নির্মাণ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে এখনও একটা অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি। ট্যুইটে তিনি আরও লেখেন, ‘মোদী এই ট্যুইটের কারণে অত্যন্ত ব্যথিত। কিন্তু ওই ১৩৫ জনের মৃত্যুতে নয়।’
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। রাজস্থানের জয়পুরে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মোরবিতে সেতু বিপর্যয় নিয়ে ট্যুইট করেন তিনি! তাঁকে ২ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর বৃহস্পতিবার আদালতে জামিন পেয়ে যান সাকেত। কিন্তু সেদিন রাতেই আবারও গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতাকে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করেন,’জামিন পাওয়ার পরও তৃণমূল নেতাকে হেনস্থা করেছে গুজরাত পুলিস। আমদাবাদ সাইবার থানা থেকে বেরোনোর সময়ে ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করা হয় সাকেত গোখলেকে। অজানা কোনও জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে’।
দ্বিতীয়বার জামিনের পেয়েই এদিন বিজেপিকে নিশানা করলেন গোখলে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তৃণমূলের মুখ বন্ধ করার জন্য মোদি-শাহের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়। উত্তরপ্রদেশে মোদি ও শাহের এ বিষয় পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে পড়ে। নির্বাচন কমিশনও বিজেপির দলেই, তাই রোড শো নিয়ে কোনও বক্তব্য থাকে না’। সাকেত গোখেলের ট্যুইটের জবাব দেন অমিত মালব্য। বিজেপির মুখপাত্র এদিন বলেন, ‘আইনভাঙা তৃণমূল মুখপাত্রের অভ্যেস। আবেগপ্রবণ ইস্যু ব্যবহার করে বারবার অশান্তি পাকানো যাবে না। এ ক্ষমার অযোগ্য। আইন নিজের পদক্ষেপ নেবে।’ মোরবি ঘটনা নিয়ে টুইটযুদ্ধ এখনই থামবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।