বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ কুস্তিগীরদের আন্দোলন (Wrestler Protest) থেকে সত্যিই কি সরে দাঁড়িয়েছেন সাক্ষী মালিক (Sakshee Malik)? তিনি ফের নিজের কর্ম সংস্থানে যোগ দেওয়ার পরেই এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাতদের সাথে মিলে মহিলা কুস্তিগীরদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছেন তারা। তারপর আচমকাই শোনা যায় যে আন্দোলন থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগে তুলে সরব হন সাক্ষী, ভিনেশ ফোগাত, বজরং পুনিয়ারা। রোদ-ঝড়-জল উপেক্ষা করে, পুলিসের দ্বারা হেনস্থা হওয়ার পরেও আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। কখনও বিজেপির মহিলা সাংসদদের চিঠি লিখে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন, আবার কখনও কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ব্রিজভূষণের গ্রেফতারির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।
এখানেই শেষ নয়, গত শনিবার রাতে নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও দেখা করে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক স্তরে পদকজয়ী কুস্তিগিররা। কিন্তু সেখানেও অধরা থেকে যায় রফাসূত্র। আর এবার শোনা যাচ্ছে, সোমবার আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন সাক্ষী। ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন নিজের রেলের চাকরিতে।
এবার এই তথ্যের বিরুদ্ধে নিজের বক্তব্য রেখেছেন সাক্ষী! তিনি বলেছেন, “এই খবর সম্পূর্ণ ভুল। ন্যায়ের লড়াইয়ে আমরা কেউ পিছপা হইনি, হবোও না। সত্যাগ্রহের পাশাপাশি রেলে দায়িত্ব পালন করছি। ন্যায়বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। দয়া করে কোনও ভুল খবর ছড়াবেন না।”
সম্প্রতি হরিদ্বারে গিয়ে গঙ্গায় সব মেডেল ভাসিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগাটরা। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষক নেতাদের অনুরোধে গঙ্গায় আর মেডেল ভাসাননি তাঁরা। তবে সরকারকে পদক্ষেপ করার জন্য পাঁচদিন সময় দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ‘ডেডলাইন’ শেষ হয় রবিবার। এর আগে শনিবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিকরা।