বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: একজন ক্রিকেটার তার কেরিয়ারে শুধুমাত্র তার পরিশ্রমের ভিত্তিতে সাফল্য পান না, বেশিরভাগ সময়ই তার সাফল্যে তার পরিবারেরও হাত থাকে। বিশেষ করে নিজের জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গীনির ভূমিকা একজন ক্রীড়াবিদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাঠে খারাপ পারফরম্যান্সের পর যখন কোনো ক্রিকেটার বাড়ি ফেরেন, তখন তার স্ত্রী-কেই তিনি সর্বপ্রথম পাশে পান। এমনই একটি উদাহরণ হলো মহেন্দ্র সিং ধোনির স্ত্রী সাক্ষী। চেন্নাই সুপার কিংসের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষী ধোনি জানিয়েছেন কীভাবে একজন ক্রিকেটারের স্ত্রীর জীবন বদলে যায় এবং তাদের কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়?
চেন্নাই সুপার কিংসের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষী ধোনি বলেছেন, “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে গর্বিত কারণ তিনি কোটি মানুষের মধ্য থেকে এই জায়গায় পৌঁছেছেন। তিনি ক্রিকেটের এমন একটি অংশ যা মানুষ খুব পছন্দ করে বিশেষ করে দেশের মানুষরা। বিয়ে করলে জীবনটা এমনিই বদলে যায়। কিন্তু আমাদের স্বামীরা খেলাধুলা করতে যান এবং এই ব্যাপারটি একটু ভিন্ন। আপনাকে নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে কারণ স্বামী মনে মনে আশা করবেন যে আপনি তার চাপ কমিয়ে দেন।
একজন ক্রিকেটারের স্ত্রীকে কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় সেই কথোপকথনে সাক্ষী ধোনিও জানিয়েছেন। সাক্ষী ধোনি বলেছেন, “আপনার ব্যক্তিগত ক্ষেত্র কিছু করার সুযোগ খুব কমই। আপনি সর্বদা জনসাধারণের নজরে থাকছেন। ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের নিয়ে মানুষ বেশি কথা বলে। আপনার কোনো ব্যক্তিগত সময় নেই, আপনি ক্যামেরার সামনে থাকাকালীন ব্যক্তিগত জীবনের মতো বাঁচতে পারবেন না। ক্যামেরার সামনে কিছু মানুষ ভালো বোধ করলেও সকলের সাথে তা হয় না।
সকলেই জানান যে মহেন্দ্র সিং ধোনি এই সময়ে সুরাটে গা ঘামাচ্ছেন। আইপিএল ২০২২-এর জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের অনুশীলন ক্যাম্প সুরাটে এবং ধোনি প্রচুর পরিশ্রম করছেন। এই আইপিএল মরশুম ধোনির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ কারণ এবার তাকে নতুন ভাবে দলে ভারসাম্য আনতে হবে। মেগা নিলামের পরে, প্রতিটি দল পরিবর্তিত হয়েছে এবং গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইকে এখন ৭ নয়, আরও ৯ টি দলের সাথে লড়াই করতে হবে।