বাংলা হান্ট ডেস্ক: বয়স মাত্র ২৪ বছর। এরমধ্যেই দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) প্রথম মহিলা পাইলট হয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন জেলার ডিবি গিরি রোড এলাকার বাসিন্দা সাক্ষী প্রধান। আর সেইসঙ্গেই সমগ্ৰ পাহাড় সাক্ষী থাকল স্বাক্ষীর স্বপ্নপূরণের। উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এবার শৈলরানি দার্জিলিং পেয়ে গেল তাঁর প্রথম মহিলা পাইলটকে।
জানা গিয়েছে গত ১৫ মার্চ গুরুগ্রামে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের A-20 জুনিয়র ফার্স্ট অফিসার হিসাবে নিয়োজিত হয়েছেন সাক্ষী। ১৯৯৮ সালের ১০ মে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা রুকেশ মণি প্রধান একটি অফসেট প্রিন্টিং প্রেস চালান। পাশাপাশি, তাঁর মা বন্দনা মুখিয়া প্রধান হলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা।
এমতাবস্থায়, দার্জিলিংয়ের বেথানি স্কুল থেকে সাক্ষী প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করার পরে ২০১৬ সালে দার্জিলিংয়ের লরেটো কনভেন্ট স্কুল থেকে আইসিএসই পাস করেন। এরপর তিনি শিলিগুড়িতে দিল্লি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। সেই লক্ষ্যেই ২০১৯ সালে ইন্ডিগো ক্যাডেট পাইলট ট্রেনিং প্রোগ্রামে নির্বাচিত হওয়ার পরে সাক্ষী স্কাইবর্ন এভিয়েশন লিমিটেডের মাধ্যমে দিল্লিতে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন।
পরবর্তীকালে তিনি আমেরিকার অ্যারিজোনায় (ফিনিক্স) গ্রাউন্ড ট্রেনিং নেন। তারপরে সেখান থেকে তিনি এফএএ ও কমার্সিয়াল এয়ারক্রাফট পাইলটের লাইসেন্স পান। এদিকে, সাক্ষী ভারত সরকারের বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের DGCA (Directorate General of Civil Aviation)-র অধীনে উত্তরাখণ্ডের পান্থনগরেও প্রশিক্ষণ নেন। পাশাপাশি, DGCA তাঁকে ভারতীয় বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট হিসেবে লাইসেন্সের অনুমোদন দেয়।
এছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আবুধাবিতে অবস্থিত এতিহাদ এয়ারওয়েজ থেকেও প্রশিক্ষণ নেন সাক্ষী। এমতাবস্থায়, সাক্ষীর এই দুর্দান্ত সাফল্যে অত্যন্ত খুশি ও গর্বিত তাঁর পরিবার। পাশাপাশি, সমগ্ৰ দার্জিলিংও এই খবরে আপ্লুত। এই প্রসঙ্গে সাক্ষীর বাবা জানিয়েছেন, এর আগে পাহাড়ের কোনো তরুণী পাইলট হননি। এই এলাকার প্রথম মহিলা পাইলট হিসেবে সাক্ষী কমার্সিয়াল এয়ারক্রাফট পাইলটের লাইসেন্স পেয়েছেন। পাশাপাশি, একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষী জানিয়েছেন, “আমি সেই ছোট্টবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম পাইলট হব। আর আজ সেই স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পেরেছি। বর্তমানে আমি দিল্লিতে রয়েছি। এখানে চেক সেশনের মধ্য দিয়ে আমাকে যেতে হবে। মোটামুটিভাবে ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে আমি জুনিয়র ফার্স্ট অফিসার পদে উন্নীত হব।”