বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অধিনায়কত্ব ছাড়তে পারেন বিরাট কোহলি, সূত্র মারফত এমনটাই খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জন্য দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে রোহিত শর্মার কাঁধে। এই খবর সামনে আসার পর থেকে অনেকেই নিজেদের মতামত রাখতে শুরু করেছেন। এটা ঠিক যে বিরাট কোহলি তার অধিনায়কত্বে কোন আইসিসি ট্রফি ভারতকে এনে দিতে পারেননি, কিন্তু ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই অধিনায়ক হিসেবে তিনি যথেষ্ট সফল।
এবার সেই সূত্র ধরেই এ বিষয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন পাক ওপেনার সালমান বাট। তার মতে বিরাটের সঙ্গে একটি নোংরা খেলা চলছে। বিশেষত যখন প্রায় সমস্ত ফরম্যাটেই শীর্ষে রয়েছে ভারত তখন বিশ্বকাপের ঠিক আগে এ ধরনের আলোচনা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সালমান বলেন, “এই দল প্রতিটি ফরম্যাটে শীর্ষে রয়েছে এবং বিশ্বকাপ এখন সামনে। তাই এই সময়ে মিডিয়ায় এই ধরনের খবর পাওয়া একটি নোংরা খেলার অংশ মাত্র।”
সালমানের মতে ভারতীয় বোর্ড যা ভাবছে তা নিয়ে তার কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সময়টা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “আপনারা কি দেখেছেন কোন সময়ে এই খবর এসেছে? ক্রিকেট বোর্ড যা ভাবছে তাতে আমার কোন সমস্যা নেই। ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এটা তাদের নিজস্ব চিন্তা হতে পারে কিন্তু এই সব বিষয়ে আলোচনার জন্য কি এটাই সঠিক সময়? এখন এমন ঘটনা ঘটছে যে বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব কার্যত হুমকির মুখে। তিনি সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটি সিরিজ খেলেছেন এবং তার দলকে ভালোভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দল নির্বাচন নিয়েও তিনি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন কিন্তু ধারাবাহিকভাবে তার বেছে নেওয়া দলকে তিনি সমর্থন করেছেন এবং বিনিময়ে দলও কোহলিকে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং আরও ভালো ক্রিকেট খেলেছে।”
বাটের মতে, রোহিত শর্মাকে অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়ার জন্য বিসিসিআইয়ের এত তাড়া হুড়ো করার প্রয়োজন নেই। বিশেষত বিশ্বকাপের আগে কোহলিকে এভাবে চাপের মুখে রাখলে দলের পারফরম্যান্সে তার প্রভাব পড়বে বলেও মনে করেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুধু সালমান বাটই নয়, পাকিস্তানের অনেক পূর্ব ক্রিকেটারই রয়েছেন যারা বিরাট কোহলির বসে প্রশংসা করে এসেছেন বারবার। তবে একথা ঠিক যে অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ এও মনে করেন কোহলি এবং শাস্ত্রী কার্যত দলের ভিতরে এমন এক ধরনের প্রথার জন্ম দিয়েছেন যেখানে কোচ এবং অধিনায়কই শেষ কথা। এ ধরনের অলিখিত প্রথা থেকেও বেরিয়ে আসা দরকার বলেই মনে করেন অনেকে।