আজই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় উত্তর বঙ্গের তিনটি আসন বাদ দিয়ে বাকি ২৯১ টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৮০-র ঊর্ধে বিধায়কদের প্রার্থী না করেও মোট ২৮ জন বিধায়ক তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। টিকিট না পাওয়ায় ইতিমধ্যেই দলের অন্দরেই ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন একাধিক বিধায়ক। মমতার এই লিস্টে নাম না থাকাদের মধ্যে রয়েছেন বাঁকুড়ার বিদায়ী বিধায়ক শম্পা দরিপা।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচিত হয়ে পড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’ করা এই শম্পা দরিপা দলের বিরুদ্ধে নানান ভাবে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি জানান, তাকে টিকিট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও দেওয়া হল না টিকিট। এমনকি লোকসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরে প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক ব্যানার্জি তাকে ডেকে টিকিট দেওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। কিন্তু তালিকা ঘোষণা কালে নিজের নাম বাদ পড়তে দেখে, সেই ক্ষোভ আর নিজের মধ্যে রাখতে পারেন নি শম্পা। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকা সত্ত্বেও ২০১৬ নির্বাচনে তাকে প্রার্থী না করাই কংগ্রেসের হয়ে ভোটে লড়েন তিনি। পরে নির্বাচনে জিতে ২১-এ তৃণমূল থেকে তাকে প্রার্থী করা হবে ভেবে ফের ঘর ওয়াপসি করেন তিনি। কিন্তু এবারেও সে আশা পূরণ না হওয়ায় তিনি বলেন, ‘এটা আমার সঙ্গে বারবার করা হচ্ছে। আমি এসবে অভ্যস্থ হয়ে যাচ্ছি’। তবে এখানেই থেমে না থেকে তিনি বাঁকুড়ার ঘোষিত প্রার্থী সায়ন্তিকাকে ‘বহিরাগত’ বলতেও পিছপা হননি।
তিনি জানান, ‘আমাদের দলের স্লোগান, বাংলা তার নিজের মেয়েকেই চায়, এই যে বহিরাগত দুদিন আগে দলে যোগ দিয়ে আজকে প্রার্থী হয়েছে। কোনওদিন বন্দেমাতরাম বলেনি, তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ বলেনি, মানুষের সঙ্গে মেশেনি, তাঁরা কি মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারবে ?’
অন্যদিকে, তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব শম্পা দরিপার ক্ষোভকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। সায়ন্তিকাকে ‘বহিরাগত’ তোপ দাগার কারণে বিদায়ী বিধায়কের দিকে দলের দিলীপ আগরওয়ালের সাফ প্রশ্ন ‘শম্পা দরিপাও একসময়ে বড়জোড়া বিধানসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন, তাহলে তিনিও কি তখন বহিরাগত ছিলেন ?’