বাংলাহান্ট ডেস্ক : আচার্য চাণক্য (Chanakya) একজন পণ্ডিতের পাশাপাশি একজন মহান শিক্ষক ছিলেন। তাঁর বলা নীতি অবলম্বন করে জীবনে সাফল্য অর্জন করা যায়। আচার্য চাণক্য বিশ্ববিখ্যাত তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। চাণক্য নীতিতে অর্থ, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, বিবাহিত জীবন, সমাজ এবং জীবনের সাফল্য সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে। যে কোনো মানুষ যদি এই বিষয়গুলোকে তার জীবনে গ্রহণ করে তাহলে সে সাফল্যের নতুন উচ্চতা অর্জন করতে পারে।
স্বামী-স্ত্রীর (Husband-Wife) সম্পর্কের (Relationship) বর্ণনা দিতে গিয়ে চাণক্য তাঁর নীতিতে ঘরের নারীকে পুরুষের চেয়ে স্মার্ট বলে আখ্যায়িত করেছেন, সাথে এটাও বলা হয়েছে যে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের সুখ-দুঃখের সঙ্গী। কিন্তু আচার্য চাণক্য সব সময় স্বামীকে স্ত্রীর কাছ থেকে কিছু জিনিস লুকিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। আচার্য চাণক্যের মতে, এই বিষয়গুলো স্ত্রীর জানা থাকলে ভবিষ্যতে ঝামেলা হতে পারে।
অপমান সম্পর্কে: স্বামীর কখনই তার স্ত্রীকে তার অপমানের কথা বলা উচিত নয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে স্ত্রী সবকিছু সহ্য করতে পারে, কিন্তু তার স্বামীর অপমান নয়। এ বিষয়ে স্ত্রী জানতে পারলে বিবাদ বাড়তে পারে। তাই স্ত্রীকে তার অপমানের কথা কখনই বলা উচিত নয়।
উপার্জন সম্পর্কে: চাণক্যের মতে, স্বামীর তার উপার্জনের কথাও তার স্ত্রীকে বলা উচিত নয়। কারণ স্বামীর উপার্জন জানার সাথে সাথে স্ত্রী তার উপর তার কর্তৃত্ব জাহির করতে শুরু করে। অনেক সময় স্বামীর খরচও বন্ধ করার চেষ্টা শুরু করবেন। তাই স্বামীর উপার্জন স্ত্রীকে কখনোই বলা উচিত নয়।
নিজের দুর্বলতা সম্পর্কে: চাণক্যের মত স্বামীর অন্দরে কোনো দুর্বলতা থাকলে তা কখনই স্ত্রীর সামনে বলা উচিত নয়। কারণ একবার স্বামীর দুর্বলতা জানাজানি হলে স্ত্রী একই দুর্বলতার সাহায্যে তার কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করবে।
দাতব্য সম্পর্কে: বিয়ের পর যে কোনো ধরনের দান করলে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে পুণ্য পায়। কখনো কখনো স্বামী অন্য কোথাও গিয়ে দান-খয়রাত করলে স্ত্রীকে বলা উচিত নয়। দান গোপন রাখতে হবে। দানের গুরুত্ব কমে যায় যখন সবাই জানতে পারে। কখনও কখনও স্ত্রী আপনাকে দান করার জন্য কটূক্তি করতে পারে, তাই দান গোপন রাখা উচিত।