বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্ষণে ক্ষণে যেন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali News)। আর লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালি ইস্যুতে চড়ছে রাজনীতির পারদ। যত সময় গড়াচ্ছে, পরিস্থিতি যেন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। শনিবার নতুন করে ফের বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। শাহজাহান, শিবু হাজরাদের খোঁজ নেই তবে জ্বলছে গোটা এলাকা। মজুত রয়েছে বিশাল পরিমাণ পুলিশ বাহিনী। এরইমধ্যে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এই ইস্যুকে সামনে রেখেই এবার ময়দানে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে এদিন দুপুরেই মিছিল করে সোজা রাজভবন চলে যান বিজেপি বিধায়কেরা। রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে সরব গেরুয়া শিবির।
শনিবার সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। তবে সেখানে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা পুলিশের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবেনা। এরপরই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করে রাজভবনে যান বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালের (Governor c v Ananda bose) হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে আওয়াজ তোলে গেরুয়া শিবির।
রাজভবনের সামনে গিয়ে, ‘সন্দেশখালি জ্বলছে কেন জবাব দাও রাজ্যপাল’, এই স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়কেরা। রাজ্যপালকে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী। এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দু আরও বলেন, “আমরা রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে গেলাম। কালকের মধ্যে শান্তি না ফিরে আসলে সোমবার ১৪৪ ধারা ভাঙব। আমাদের গ্রেফতার করুন। কত ক্ষমতা আছে আমরাও দেখতে চাই।”
যদিও এদিন রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের দেখা পায়নি বিজেপি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বর্তমানে কেরলে আছেন। এদিন শাসকদলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “জনগণের মানবাধিকার, রোষকে কোনওভাবেই পদদলিত করতে দেবে না বিজেপি। শীঘ্রই আমাদের মহিলা মোর্চা, যুব মোর্চা পথে নামতে চলেছে। আমরা সোমবার বিধানসভায় জড়ো হয়ে ১৪৪ ভাঙার জন্য সন্দেশখালি যাব।”
আরও পড়ুন: বিচারপতির বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন! অভিষেকের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শিবু প্রসাদ হাজার, উত্তম সর্দারের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে তাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। হাতে লাঠি, খুন্তি হাতে রাস্তায় নামেন কয়েক হাজার স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক মহিলা।