বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলেও সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) মানুষের মন থেকে আতঙ্ক পুরোপুরি যায়নি। কারণ তাঁর ‘সাঙ্গপাঙ্গ’রা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। গত কয়েক বছরে সহ্য করা নরক যন্ত্রণার স্মৃতি এখনও টাটকা অনেকের মনে। এলাকার মানুষের মুখে শোনা গেল এমনই কিছু ঘটনার বিবরণ। যা শুনলে শিউড়ে উঠতে হয়!
এক গ্রামবাসী জানালেন, শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) বাহিনীর মারে মানসিক ভারসাম্য হারায় তাঁর স্ত্রী। ঘটনার পর অনেকটা সময় কেটে গেলেও এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। কী হয়েছিল সেদিন? জানা যায়, রাস্তায় তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করেছিল শাহজাহান বাহিনী। প্রতিবাদ করে একজনের গালে চড় কষিয়েছিলেন সেই গৃহবধূ। ফলস্বরূপ জোটে বেধড়ক মার! অভিযোগ, থানার অদূরেই রাস্তায় ফেলে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। পুলিশ যেন দেখেও দেখেনি সেই ঘটনা। সেই মারের জেরে মানসিক ভারসাম্য খুইয়েছিলেন, আজও সেরে উঠতে পারেননি সেই মহিলা।
সন্দেশখালি (Sandeshkhali) নিবাসী অনিতা সর্দার জানান, সেই সময় শাহজাহানের শাগরেদ জিয়াউদ্দিন বাজারে গুলি চালিয়েছিল। এখনও তাঁর মনে টাটকা সেসব স্মৃতি। সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শাহজাহান। তবে ২০১৭ সালে তাঁর বাহিনীর অত্যাচারের কথা আজও ভুলতে পারেননি সন্দেশখালির রাজবাড়ি এলাকার মানুষ।
সন্দেশখালির (Sandeshkhali Issue) মানুষ যখন বিক্ষোভ শুরু করলেন, তখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল এতদিন কেন চুপ ছিলেন তাঁরা? এই প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া গিয়েছে। আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে শাহজাহান এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছিলেন এলাকার মানুষ। মিছিল, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ জানিয়েছিলেন। ফল কী হয়েছিল?
আরও পড়ুনঃ ঘাসফুলে বিরাট ভাঙন! মঙ্গলে কোন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বাড়ি যাচ্ছেন শুভেন্দু-সুকান্ত? শোরগোল
শোনা যায়, আক্রান্ত মহিলার বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতিরা। আক্রান্ত মহিলার ছেলের কথায়, ফাইনাল পরীক্ষা সামনে ছিল বলে লেখালেখি করছিলেন তিনি। হাতে যে পেন ছিল সেই পেন নিয়ে গালের মধ্যে দিয়ে ঠোঁটের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতিরা। এখানেই শেষ নয়! শাহজাহান বাহিনীর হাতে ছিল অস্ত্র! গ্রামবাসীদের অভিযোগ, একটু এদিক ওদিক হলেই গুলি চালাতেন তাঁরা। প্রতিবাদ করায় অনেকে ‘ফল ভোগ’ করেছে। সেই জন্য আর মুখ খোলার সাহস দেখাননি অনেকেই।