বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাসখানেক আগের ঘটনা! এই সন্দেশখালিতেই (Sandeshkhali) তিন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন মহিলারা। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে নির্বাচনের আগেই পাল্টে গেল সম্পূর্ণ চিত্র। যে মহিলারা কয়েকদিন আগে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তাঁরাই এখন বলছেন, ‘তৃণমূলের সঙ্গে আগেও ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকব’।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের সকল মহিলাদের সেই বর্ধিত টাকা পাওয়ার কথা। তবে গতকাল ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকার দরুন টাকা আসেনি। তবে মঙ্গলবার অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আসতেই রঙ খেলায় মাতেন সন্দেশখালির মহিলারা।
মাসখানেক আগে যারা তৃণমূলের (TMC) তিন নেতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তাঁরাই আজ সবুজ আবীর মেখে আনন্দে মেতে ওঠেন। এমনকি বিজেপি প্রার্থী তথা সন্দেশখালির প্রতিবাদী গৃহবধূ রেখা পাত্র ভোটে জিতলে টাকিতে আটকে থাকা কাজ সম্পূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও মহিলাদের রঙ খেলা বন্ধ হয়নি।
আরও পড়ুনঃ ভুলে ভর্তি টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র! পর্ষদের ওপর চাপ বাড়াল কলকাতা হাই কোর্ট
সন্দেশখালির কর্ণখালির একাধিক গ্রাম, উত্তরদ্বারির জঙ্গলে মহিলাদের রঙ খেলার চিত্র ফুটে উঠেছে। দিন কয়েক আগে প্রায় বছর দুয়েকের বকেয়া ১০০ দিনের টাকা পেয়েছেন। মঙ্গলবার অ্যাকাউন্টে ঢুকল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। স্বাভাবিকভাবেই খুশির জোয়ারে ভাসছেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা।
এই প্রসঙ্গে সন্দেশখালির মহিলাদের জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আগেও তৃণমূলের সঙ্গে ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে যে কথা দিয়েছিলেন, সেটা রেখেছেন। আজ আমরা তাই আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছি। আমরা শান্তিতে আছি’। প্রতিবাদী মহিলারা জানান, তাঁদের লড়াই তৃণমূল নয়, বরং দলের তিন নেতার বিরুদ্ধে ছিল, শাহজাহান, উত্তম, শিবুরা জেলে যেতেই গ্রামে শান্তি ফিরে এসেছে বলে জানান তাঁরা।
একদিন আগে বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম দাবি করেছিলেন, শাহজাহান চ্যাপ্টার ক্লোজড। এদিন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘সন্দেশখালি সহ বসিরহাটের যেখানেই আমরা যাচ্ছি, সেখানেই আমাদের সাদরে গ্রহণ করছে সাধারণ মানুষ। আজ থেকে বর্ধিত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকল। তাই এখানকার মহিলারা আবীর খেলে উদযাপন করলেন’।