বাংলাহান্ট ডেস্ক: জীবনে প্রচুর চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt)। রিহ্যাবে কাটিয়েছেন, জেল খেটেছেন। এমনকি ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সঙ্গেও লড়াই করেছেন। আগুনে জ্বলতে জ্বলতে খাঁটি হয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রৌঢ়ত্বে এসে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর বিরাট ধাক্কা দিয়েছিল সঞ্জু বাবাকে।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’। সুপারহিট কন্নড় ছবিতে খলনায়ক অধীরার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সঞ্জয় আগেই জানিয়েছিলেন, ক্যানসারকে সঙ্গে নিয়েই অধীরা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শুনতে খুব সহজ লাগলেও বিষয়টা যে কতটা কঠিন ছিল তা জানেন শুধু অভিনেতা নিজে। ক্যানসার হয়েছে শুনে নাকি ৩ ঘন্টা ধরে শুধু কেঁদেছিলেন তিনি।
দু বছর আগে লকডাউনের সময়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর পান সঞ্জয়। সেই দিনটার কথা মনে করে অভিনেতা বলেন, সকালে দৈনন্দিন সব কাজ তিনি করছিলেন ঠিকই, কিন্তু দম যেন ফুরিয়ে আসছিল তাঁর। চিকিৎসককে ডাকতে চেক আপ করানোর পর জানা যায়, সঞ্জয়ের দুটি ফুসফুসের অর্ধেকের বেশি জলে ভরা।
সবাই প্রথমে যক্ষ্মা ভেবেছিলেন, কিন্তু জানা যায় রোগটা আরো মারাত্মক, ক্যানসার! সঞ্জয় জানান, সকলে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন যে কথাটা তাঁকে কীভাবে জানাবেন। তাই অভিনেতার বোন এসে তাঁকে দুঃসংবাদটা জানান। সঞ্জয় বলেন, “এমতাবস্থায় যে কেউ পরবর্তী পদক্ষেপগুলো ভাববে। কিন্তু আমি দু তিন ঘন্টা ধরে শুধু কেঁদেছিলাম। আমার স্ত্রী, সন্তান, নিজের জীবনের কথা ভেবে। তারপরেই আমি ঠিক করলাম, দুর্বল হলে চলবে না।”
হৃতিক রোশনের বাবা রাকেশ রোশন একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের খোঁজ দিয়েছিলেন সঞ্জয়কে। সেই চিকিৎসক আগে থেকেই তাঁকে জানিয়ে রেখেছিলেন কেমোথেরাপির কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে। যেমন চুল পড়ে যাওয়া বা বমি হওয়া। কিন্তু সঞ্জয় নিশ্চিত ছিলেন যে তাঁর কিছুই হবে না।
এই মনের জোর নিয়েই কেমোথেরাপির পর এক ঘন্টা তিনি সাইকেল চালাতেন এমনকি ব্যাডমিন্টনও খেলতেন! ক্যানসার নিয়ে করেছেন শুটিং। তিনি জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত অভিনয় অরে যাবেন। এখন অবশ্য সম্পূর্ণ সুস্থ সঞ্জয় দত্ত।