বাংলাহান্ট ডেস্ক: দুই সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে দুবাই (dubai) উড়ে গেলেন অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত (sanjay dutt)। সঙ্গে স্ত্রী মান্যতা। খুব শীঘ্রই ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যাবেন অভিনেতা। তার আগে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতেই তড়িঘড়ি দুবাই যাওয়ার প্ল্যান করেন সঞ্জয়।
দুবাইতে পড়াশোনা করছে সঞ্জয় ও মান্যতার দুই ছেলে মেয়ে। লকডাউনের সময়টায় মান্যতাও দুবাইতেই ছিলেন। লকডাউন ঘোষনা হওয়ায় সেখানে গিয়ে মান্যতা আটকে যান বলে জানান সঞ্জয়। পরে তিনি ভারতে ফিরলেও দুবাইতেই রয়ে গিয়েছে ছেলে মেয়েরা। মার্কিন মুলুকে যাওয়ার আগে তাই তাদের সঙ্গে দেখা করতেই দুবাই পাড়ি সঞ্জয়ের।
প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালেই কেমোথেরাপি শুরু করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। কিছুদিন আগে হাসপাতাল সূত্রে খবর মেলে, প্রথম পর্যায়ের কেমোথেরাপি সফল হয়েছে সঞ্জয় দত্তের। এবার পালা দ্বিতীয় পর্যায়ের। জানা গিয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের কেমোথেরাপিও শীঘ্রই করাবেন সঞ্জয় দত্ত।
হাসপাতাল সূত্রে আগে খবর পাওয়া গিয়েছিল, এই মুহূর্তে বিদেশে না গেলেও সেখানকার হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করেছেন অভিনেতা। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতোই পরামর্শ দিয়েছেন আমেরিকার চিকিৎসকরা। তাই আপাতত মুম্বইতেই চিকিৎসা করাচ্ছিলেন সঞ্জয় দত্ত।
এর আগে জানা গিয়েছিল, আমেরিকার মেমোরিয়াল সোলান কেরাটিং ক্যানসার সেন্টারে চিকিৎসা করাবেন অভিনেতা। ওই হাসপাতালেই প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন তাঁর মা নার্গিস।
ক্যনসার ধরা পড়ার পর থেকেই আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। আমেরিকা বা সিঙ্গাপুর যেকোনও একটি জায়গায় যাওয়ার ছাড়পত্রের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আবেদন করেন সঞ্জয়। কিন্তু আমেরিকা যাওয়ার ভিসা পাননি তিনি।
প্রথমে জানা যায়, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির জন্যই বিদেশ যাওয়ার পর অনুমতি মেলেনি সঞ্জয়ের। বাধ্য হয়ে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে শুরু হয় অভিনেতার কেমোথেরাপি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ১৯৯৩ তে মুম্বই হামলায় নাম জড়িয়ে থাকার জন্যই বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাননি সঞ্জয়।
অবশেষে এক বন্ধুর সহায়তায় পাঁচ বছরের জন্য আমেরিকায় চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসা পান সঞ্জয়। এবার মার্কিন মুলুকেই হবে সঞ্জয় দত্তের চিকিৎসা।