অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে বিতর্কিত কার্যকাল, এ বার অ্যাডজাঙ্কট প্রোফেসর হয়ে সেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই ফিরছেন শান্তা দত্ত

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অ্যাডজাঙ্কট প্রোফেসর হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও ফিরতে চলেছেন শান্তা দত্ত দে (Santa Dutta)। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) অন্তর্বর্তী উপাচার্যের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তাঁর দায়িত্বকালে বিতর্কও কম হয়নি। এবার স্থায়ী উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণ করতেই অতিথি অধ্যাপক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে চলেছেন শান্তা (Santa Dutta)।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই আবার ফিরছেন শান্তা দত্ত (Santa Dutta)

সোমবার থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) আলিপুর ক্যাম্পাস অর্থাৎ বিহারীলাল কলেজ ফর হোম অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সে ক্লাস নিতে দেখা যেতে পারে তাঁকে। জানা যাচ্ছে, ২০২৪ এই তাঁকে অ্যাডজাঙ্কট প্রোফেসর করার বিষয়ে বিভাগ থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। শান্তা দত্ত দে (Santa Datta) জানান, সিন্ডিকেটে প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর রেজিস্ট্রার নিয়োগপত্র তৈরি করে রেখেছিলেন।

Santa datta is returning to calcutta university as adjunct professor

পড়াবেন বিনা পারিশ্রমিকে: এতদিন উপাচার্য থাকায় দায়িত্ব নিতে পারেননি তিনি। তবে সম্প্রতি দায়িত্ব শেষ হতে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা বলে নিয়োগপত্র নিয়েছেন তিনি। সোমবার থেকে ক্লাস নেবেন বলে জানান তিনি (Santa Datta)। অন্তর্বর্তী উপাচার্য (Calcutta University) থাকাকালীন কোনও পারিশ্রমিক নেননি তিনি। এবার অ্যাডজাঙ্কট প্রোফেসর হিসেবেও বিনা পারিশ্রমিকেই তিনি দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান।

আরও পড়ুন : ‘আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী…’, জন্মদিনের সন্ধ্যায় মন খারাপ শাহরুখের, কী হল হঠাৎ?

কী বলছে বিরোধী পক্ষ: এদিকে শান্তা দেবীর নতুন দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে অসন্তোষের আঁচ বিরোধী পক্ষে। অভিযোগ, বিভাগীয় বৈঠক ছাড়াই সিন্ডিকেটে প্রস্তাব গিয়েছে। এ বিষয়ে শান্তাদেবী (Santa Datta) বলেন, বৈঠক হয়নি ঠিকই, তবে ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশনের অধ্যাপকরা এতে সই করেছিলেন। কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে চলছে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের ক্লাস। তাই তাঁরা অনিবার্যতা জানবেন। হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অধ্যাপকদের মধ্যেও কয়েকজন সই করেছিলেন বলে তিনি শুনেছেন বলে জানান শান্তাদেবী।

আরও পড়ুন : মাটির বাড়িতে সাতসকালে ইডি হানা, যা বেরোলো তল্লাশিতে… চাঞ্চল্য এলাকায়

সিন্ডিকেটের এক সদস্য বলেন, এভাবে পুরনো চিঠির মাধ্যমে কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি সিন্ডিকেট বৈঠকে উঠলে এর বিরোধিতা করা হবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, বিষয়টি পুরনো। ঘটনাপরম্পরা তিনি কিছুই জানেন না। রেজিস্ট্রারও এখনও মুখ খোলেননি এ বিষয়ে।