বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) মুকুটে যুক্ত হল নয়া পালক। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, UNESCO-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে শান্তিনিকেতন। অর্থাৎ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিরিখে এবার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থান।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চলতি বছরে রবীন্দ্র জয়ন্তীর পরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এক্স মাধ্যমে জানিয়েছিলেন যে, “গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে ভারতের জন্য এবার সুখবর। পশ্চিমবঙ্গে শান্তিনিকেতনের নাম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় লিপিবদ্ধ করতে সুপারিশ করেছে UNESCO-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা বিভাগ ICOMOS।” এমতাবস্থায়, চলতি মাসেই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কথা ছিল। তারপরেই আজ সামনে এল সেই সুখবর।
https://twitter.com/UNESCO/status/1703390201651810324?ref_src=twsrc%5Egoogle%7Ctwcamp%5Eserp%7Ctwgr%5Etweet
এমতাবস্থায়, রবিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট “X”-এই ঘোষণা করে UNESCO। যেখানে বলা হয়,” UNESCO-র বিশ্ব ঐতিহ্য ক্ষেত্রের তালিকায় নয়া সংযোজন: শান্তিনিকেতন। অভিনন্দন ভারতকে”।
আরও পড়ুন: বড় পদক্ষেপ রেলের! শহিদ ক্যাপ্টেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বদলে গেল দেশের এই স্টেশনের নাম
জানিয়ে রাখি যে, ১৯২১ সালে, ১ হাজার ১৩০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা হয় শান্তিনিকেতনের। প্রথমে রবীন্দ্রনাথের নামেই নামকরণ হয় এই স্থানের। এদিকে, ১৯২২ সালের মে মাসে বিশ্বভারতী সোসাইটির প্রতিষ্ঠা হয়। এই বিশ্বভারতী সোসাইটিকেই সমস্ত সম্পত্তি দান করেন রবীন্দ্রনাথ।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই বড় উপহার, এই দিন চালু হচ্ছে গরিবের বন্দে ভারত! দিনক্ষণ ঘোষণা রেলের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, UNESCO-র তরফে মূলত স্মৃতি সৌধ বা স্মৃতিস্তম্ভকেই হেরিটেজ তালিকায় রাখা হলেও এই প্রথম শান্তিনিকেতনের মতো স্থান যুক্ত হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। এই স্থানেই মুক্ত বাতাসে এবং খোলা আকাশের নীচে শিক্ষাপ্রাপ্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজও সেই প্রথা একইভাবে চলে আসছে।