বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যত দিন গড়াচ্ছে, ততই মানুষের ঢল নামছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) পুজোয়। একদিন আগেই এই পুজোর উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর থিম ‘অপারেশন সিঁদুর’। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা এবং ভারতের পক্ষ থেকে কিভাবে পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন করা হয়েছে তার প্রেক্ষিতেই এই পুজোর থিম তৈরি করা হয়েছে।
উদ্বোধনের আগে থেকে এই পুজোর থিম দেখতে উপচে পড়েছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিতর্কও। এবার সেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের অনুমোদন। সূত্রের খবর, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে নোটিস পাঠিয়েছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ।
নোটিসে কী বলা হয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) পুজো কমিটিকে?
সূত্রের খবর, মুচিপাড়া থানার পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো নোটিসে চাওয়া হয়েছে সংস্থার লাইসেন্স, পুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে চুক্তিপত্র, জিএসটি-র নথি এবং সাউন্ড লিমিটার সম্পর্কিত কাগজপত্র। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই নোটিসে হাইকোর্ট এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশের কথাও উল্লেখ রয়েছে। নোটিসটি পাঠানো হয়েছে রাজস্থানের AK প্রোজেক্টিং সংস্থাকে।
এই ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রশাসনের অসহযোগিতার কথা তুলে ধরেছেন। সজল ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “গতকাল আমার এক বিজ্ঞাপন দাতাকে পুলিশ তিন ঘণ্টা বসিয়ে রেখেছে। আজকে যাঁরা বাইরে থেকে লাইট-সাউন্ডের কাজ করছেন, তাঁদের চিঠি পাঠিয়ে লাইসেন্স চেয়েছে পুলিশ। অথচ পুলিশই আমাদের অনুমতি দিয়েছে। ভাবছি এই পুজো আমাদের পক্ষে চালানো সম্ভব হবে কি না। এভাবে বার বার নোটিস পাঠাতে থাকলে আমরা মণ্ডপ নিষ্প্রদীপ করব।”
আরও পড়ুনঃ “চোরে চোরে মাসতুতো ভাই”, হুমায়ুনের কটাক্ষে তুলকালাম ভরতপুর, নিশানায় কে?
বারবার নোটিশ পাঠানোর ঘটনায় কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Santosh Mitra Square) পুজো কমিটি। অন্য কোনও পুজো ক্লাবকে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে না, অথচ বারবার কেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারকে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে? এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এখন এই বিতর্ক কতদুর পৌঁছয় সেটাই দেখার।