বাংলাহান্ট ডেস্ক: শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) এমন একজন অভিনেতা যিনি মুম্বইয়ের পাশাপাশি বাংলাতেও সমান তালে কাজ করে চলেছেন। খুব শীঘ্রই ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ ছবিতে দেখা যেতে চলেছে তাঁকে। এই ছবিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে দেখা যাবে তাঁকে। অন্যদিকে বলিউডে শাশ্বতর শেষ ছবি ‘ধাকড়’। অভিনেতার কথায়, বেড়াতে যাবেন বলে বেশি ছবি তিনি করেন না।
থিয়েটার দিয়ে অভিনয় কেরিয়ার শুরু শাশ্বতর। তারপর কাজ করেন ছোটপর্দায়। সেখান থেকে বড়পর্দা। কিন্তু আগে টেলিভিশন অভিনেতারা এত সহজে সিনেমায় সুযোগ পেতেন না। বলা হত, সিরিয়ালের অভিনেতাদের দেখতে কেউ হলে আসবে না। কিন্তু এখন বিষয়টা একেবারেই অন্যরকম।
এক সাক্ষাৎকারে নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের নিয়ে মুখ খোলেন শাশ্বত। তাঁর কথায়, এখন একটা সিরিয়ালে মুখ দেখালেই হোর্ডিংয়ে জায়গা করে নেন অভিনেতা অভিনেত্রীরা। কিন্তু সিরিয়াল শেষের পর অনেকেই হারিয়ে যান। এতে সমস্যা হতে পারে বলে মত শাশ্বতর। কারণ সিরিয়াল যতদিন চলে ততদিন পারিশ্রমিক পাওয়ার পর হঠাৎ করেই কাজটা চলে গেলে অবসাদ ঘিরে ধরে অভিনেতা অভিনেত্রীদের।
শাশ্বত নিজেও এক সময়ে অবসাদে ভুগেছেন। লকডাউনের সময়ে যখন প্রায় দেড় বছরের জন্য থমকে গিয়েছিল সবকিছু, কাজের অভাবে হাঁফিয়ে উঠেছিলেন তিনিও। সে সময়েও অনেক সিরিয়াল বাড়ি থেকে শুটিং হয়েছে। কিন্তু সেটা দেখতে খুবই বাজে লাগতে বলে মন্তব্য করেন শাশ্বত। তাঁর মতে, হাতে টাকা থাকুক বা না থাকুক, কাজ থাকা খুব জরুরি।
বর্তমান প্রজন্মের অভিনেতা অভিনেত্রীদের দোষ গুণ নিয়েও এদিন নিজের মতামত দিয়েছেন শাশ্বত। এখনকার টেলিভিশনের অভিনেতারা অনূক বেশি প্রতিভাবান বলে মনে করেন তিনি। কারণ আগে সিরিয়ালে একটা দৃশ্যের পেছনেই অনেকটা সময় চলে যেত। এখন সেটা আর হয় না।
আবার একই ভাবে শাশ্বতর মতে, এখনকার প্রজন্মের হাতে সময় খুব কম। কোনো বিষয় নিয়ে ভেবে তারপর কাজ করার সময় আর নেই তাদের কাছে। তা তাদের টিকে থাকতে হলে প্রতিভাবান হতেই হয়। পাশাপাশি ফলোয়ার সংখ্যার নিরিখে কাজ পাওয়ার বিষয়টা নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শাশ্বত। তাঁর স্পষ্ট কথা, কাজ খারাপ হলে জনপ্রিয়তা কোনো কাজেই লাগবে না।