বাংলাহান্ট ডেস্ক : যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির (Lionel Messi) ইভেন্ট ঘিরে বিতর্ক এখনও অব্যাহত। মেসি ভারত সফর সম্পূর্ণ করে ফিরে গেলেও সেদিনের বিশৃঙ্খলা নিয়ে তীব্র চাপানউতোর। ইতিমধ্যেই যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে। গ্রেফতার হয়েছেন শতদ্রু দত্তও। তাঁকে টানা জেরা করে নতুন তথ্য উঠে এসেছে সিটের হাতে।
মেসিকে (Lionel Messi) নিয়ে বড় দাবি ধৃত শতদ্রুর
জানা গিয়েছে, শতদ্রু নাকি তদন্তকারীদের বলেছেন, পিঠে হাত দেওয়া, জড়িয়ে ধরা এসব মোটেই পছন্দ করেননি মেসি। বিদেশ থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে যে আধিকারিকরা এসেছিলেন তাদের নাকি সেকথা জানিয়েছিলেন লিও। সূত্রের এও খবর, বারংবার ঘোষণা করেও কোনও লাভ হয়নি।

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিশৃঙ্খলা: সেদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবলের রাজপুত্রকে চোখের সামনে দেখার জন্য উপচে পড়েছিল দর্শক সমর্থক। কিন্তু মেসি মাঠে আসতেই দেখা যায় অন্য চিত্র। তাঁকে ঘিরে ছিল রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের ভিড়। অভিযোগ, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস প্রথম থেকে মেসির সঙ্গে কার্যত আঠার মতো আটকে ছিলেন।
আরও পড়ুন : SIR প্রক্রিয়ায় বাড়তি পাহারা, বাংলা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের
কোমর জড়িয়ে ছবি তোলার অভিযোগ: মেসির (Lionel Messi) কোমর জড়িয়ে ছবি তোলা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পরিবার পরিজন এবং আত্মীয়দের অনেকের সঙ্গে ফুটবল তারকার ছবি তোলানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সমালোচনার ঝড় আছড়ে পড়েছিল অরূপের বিরুদ্ধে। শেষমেষ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
আরও পড়ুন : অনলাইনে আরও সহজে মিলবে টিকিট, আধারযুক্ত আইআরসিটিসি অ্যাকাউন্টে সময়সীমায় পরিবর্তন ভারতীয় রেলের
যুবভারতীতে সেদিন মেসির সঙ্গে এতজন কীভাবে ঢুকে পড়েছিলেন মাঠে? শতদ্রু নাকি জেরায় জানিয়েছেন, প্রথমে ১৫০ জনের গ্রাউন্ড অ্যাক্সেস কার্ড করে দেওয়া হয়েছিল। পরে প্রভাবশালীদের চাপে সংখ্যাটাকে নাকি তিনগুণ বাড়াতে হয়েছিল। সূত্রের খবর, শতদ্রু দত্ত জেরায় আরও জানিয়েছেন, ভারত সফরের জন্য মোট ৮৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল মেসিকে। পাশাপাশি ভারত সরকারকে কর বাবদ দেওয়া হয়েছিল আরও ১১ কোটি। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে মেসির ভারত সফরের জন্য। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ স্পনসরদের থেকে এবং বাকি ৩০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করে এসেছে বলে জানিয়েছেন শতদ্রু।












