বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফের মিথ্যা ধরা পড়ল রিয়া চক্রবর্তীর (rhea chakraborty)। পারিশ্রমিক নিয়েই রিয়ার হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে (satish manshinde)। কোনও বিনামূল্যে কাজ তিনি করছেন না, এমনটাই সাফ জানিয়ে দিলেন এই দুঁদে আইনজীবী।
শুক্রবার হঠাৎ করেই শোনা যায়, বিনামূল্যেই নাকি এই মামলা লড়ছেন আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। বিনিময়ে একটা টাকাও নাকি তিনি নিচ্ছেন না রিয়ার কাছ থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই এমন একটি খবরে জোর শোরগোল ওঠে নেটদুনিয়ায়।
এর আগে জানা গিয়েছিল, প্রতিদিনের শুনানির জন্য মক্কেলের থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে পারিশ্রমিক নেন এই হাই প্রোফাইল আইনজীবী। তাহলে হঠাৎ কি এমন কারন যে রিয়ার থেকে কোনও টাকাই নিচ্ছেন না তিনি, উঠছিল প্রশ্ন।
অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটালেন আইনজীবী নিজেই। সংবাদ সংস্থা ANI কে তিনি বলেন, “রিয়া সাক্ষাৎকারে এটাই বলেছেন যে এই মামলার জন্য আমি নিজের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করিনি। মানুষ যে বলছে আমি নাকি বিনা পয়সাতেই রিয়ার হয়ে মামলা লড়ছি তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। পারিশ্রমিকটা অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মক্কেল ও আমার মধ্যে।”
What Rhea said in her interview was only that I didn't raise bills in her case and whatever people are saying that I approached her for this case and offered my services for free is not true. Fees is a matter between me and my client: Satish Maneshinde, #RheaChakraborty's lawyer
— ANI (@ANI) August 28, 2020
এর আগে সাক্ষাৎকারে রিয়া দাবি করেন, সুশান্তের টাকা তাঁর প্রয়োজন হত না। অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কের আগেই মুম্বইয়ের খার এলাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। তার জন্য ১৭ হাজার টাকা EMI এখনও দিচ্ছেন তিনি। তবে সুশান্তের পরিবার তাঁর যা অবস্থা করেছে এখন তাঁর হাতে কোনও টাকা নেই। তাই EMI কিভাবে শোধ করবেন জানেন না বলে মন্তব্য করেন রিয়া।
You are worried about how you will be paying 17,000 in EMI, please tell me how are you paying the most expensive lawyer of India you have hired?? #RheaTheLiar pic.twitter.com/ulGTWjnW5I
— Shweta Singh Kirti (@shwetasinghkirt) August 28, 2020
ভিডিওর এই অংশটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করে সুশান্তের দিদি শ্বেতা পাল্টা তোপ দাগেন, ‘১৭০০০ টাকা EMI কিভাবে শোধ করবে সেই চিন্তা করছো তুমি, তাহলে ভারতের সবথেকে দামি আইনজীবীর পারিশ্রমিক কিভাবে দিচ্ছো?’
https://twitter.com/SKaran640531/status/1299208491832233984?s=19
https://twitter.com/YashvardhanO/status/1299208019562000384?s=19
প্রসঙ্গত, দেশের হাই প্রোফাইল আইনজীবীদের মধ্যে সতীশ মানশিন্ডে অন্যতম। এর আগে সঞ্জয় দত্ত ও সলমন খানের হয়েও মামলা লড়েছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিষ্ফোরনে সঞ্জয় দত্ত ও পরে ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় সলমন খানের হয়ে লড়েছিলেন তিনি। এমনকি পালঘর সাধু হত্যাকাণ্ডেও আইনজীবী ছিলেন সতীশ মানশিন্ডে।