মাত্র ১৩ বছরেই সফল IIT-JEE-তে! ২৪ বছরে সম্পন্ন PhD, চমকে দেবে সত্যমের সাফল্যের কাহিনি

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই সাফল্যতার (Success Story) গল্প এক এক রকম। স্বপ্ন পূরণ করতে গেলে কতটা পরিশ্রম করতে হয়, তা কারও কাছে আলাদা করে বোঝাতে হয় না। সাফল্যই নিজের গল্প বলে দেয়। সেই উদাহরণই তৈরি করেছেন বিহারের (Bihar) ভোজপুর জেলার বখোরাপুর গ্রামের বাসিন্দা সত্যম কুমার। কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া এই তরুণ দেখিয়ে দিয়েছেন, ইচ্ছাশক্তি আর মেধা থাকলে অল্প বয়সেই কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।

সত্যমের সফলতার অনন্য গল্প (Success Story)

১৯৯৯ সালের ২০ জুলাই জন্মানো সত্যম মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ভারতবর্ষের সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম IIT-JEE উত্তীর্ণ হন। যে বয়সে বেশিরভাগ কিশোর ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধায় থাকে, খেলা আর পড়াশোনার মধ্যে সময় কাটায়, সেই বয়সে সত্যম দেশের নজর কাড়েন (Success Story)।

আরো পড়ুন:নেপালের আন্দোলনের পেছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র! ১০ দিন পর প্রকাশ্যে এসে কী জানালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

২০১২ সালে প্রথমবার IIT-JEE পরীক্ষায় বসেন তিনি এবং অল ইন্ডিয়া র‌্যাঙ্ক ৮১৩৭ পান। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হননি। পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৩ সালে ফের পরীক্ষা দেন। এবার তিনি সাফল্যের (Success Story) সোনার সিঁড়িতে আরও উঁচুতে ওঠেন এবং অল ইন্ডিয়া র‌্যাঙ্ক পান ৬৭০। তবে কেবল র‌্যাঙ্ক নয়, আলোচনায় আসে তাঁর বয়সও। কারণ তিনিই ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী, যিনি এই পরীক্ষা দিয়ে সফল হন।

সেই সাফল্যের (Success Story) পথ ধরে সত্যম ভর্তি হন আইআইটি কানপুরে। সেখানে বি.টেক শেষ করার পর এম.টেকও সম্পূর্ণ করেন। তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান আমেরিকায়। গবেষণার বিষয় হিসেবে বেছে নেন ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস (Brain-Computer Interface)। মাত্র ২৪ বছর বয়সে তিনি পিএইচডি সম্পূর্ণ করেন, যা আবারও তাঁর ব্যতিক্রমী সাফল্যের সাক্ষী হয়ে থাকে।

Satyam Kumar Success Story will surprise you

আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আর হবে না এই কাজ! RBI-এর নির্দেশে বন্ধ হল বিশেষ পরিষেবা

গবেষণার জগতে সত্যম নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। তিনি InterDigital Inc.-এ গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম নামী প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপল-এ মেশিন লার্নিং ইন্টার্ন হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়া টেক্সাস ইন্সট্রুমেন্টসের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তিনি সেখানে মেশিন লার্নিং রিসার্চ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন (Success Story)।

একজন সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান হয়েও সত্যম কুমার আজ বিশ্বের নামী প্রযুক্তি সংস্থায় গবেষক। তাঁর জীবনের কাহিনি প্রমাণ করে, ইচ্ছাশক্তি, অধ্যবসায় আর পরিশ্রম থাকলে যে কোনও বাধা জয় করা সম্ভব। তাঁর এই সাফল্য শুধু গ্রামের গণ্ডি নয়, গোটা দেশকে গর্বিত করেছে (Success Story) ।