বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় দুর্নীতির অভিযোগে জেলে থাকা সত্যেন্দ্র জৈনের (Satyendra Jain) পা মালিশ করে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। এবার সেই ভিডিও কাণ্ডেতেই এল নয়া মোড়। তিহার জেল সূত্রে এএনআই (ANI) জানাল, সত্যেন্দ্রর পায়ে মালিশ করা ব্যক্তি আসলল তিহার জেলেরই এক বন্দি। নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে আম আদমি পার্টির (AAP) বিরুদ্ধে। এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও (Arvind Kejriwal) ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি, এরপর আর সত্যেন্দ্র জৈনকে তাঁর পদে রাখা যাবে না। পদত্যাগ করতে হবে তাকে।
সম্প্রতি এক সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পায়ে মালিশ করাচ্ছেন সত্যেন্দ্র জৈন। জানা যাচ্ছে, সত্যেন্দ্রর পা টিপে দেওয়া ব্যক্তির নাম রিঙ্কু। গতবছর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দশম শ্রেণির ছাত্রী তার মেয়ে বাবা রিঙ্কুর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করে। এই মুহুর্তে পকসো আইনে মামলা চলছে রিঙ্কুর বিরুদ্ধে। আম আদমি পার্টি দাবি করে সত্যেন্দ্র জৈনের চিকিৎসার কারণে এই মালিশ দেওয়া হচ্ছে। দিল্লির ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী এই বিতর্কের আবহে পালটা বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, ‘এভাবে কারও অসুস্থতার মজা ওড়ানো ঠিক নয়।’ এদিকে এর আগে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশে তদন্তের প্রেক্ষিতে তিহার জেলের সুপারকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। তবে সেই সময়ও আম আদমি পার্টি দাবি করেছিল, সত্যেন্দ্র জৈনকে কোনও ভিআইপি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না জেলে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র টুইট করে লেখেন, ‘এটাই কেজরিওয়ালের ম্যাসাজ মডেল। দিল্লির তিহার জেলে আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের খাস মানুষ সত্যেন্দ্র জৈনকে যে ম্যাসাজ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে সেটাই পরিবর্তনশীল রাজনীতির প্রমাণ। অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর দল আজ দুর্নীতির সমার্থক হয়ে উঠেছে।’
এই ঘটনার জেরে কয়েকদিন আগেই তিহার জেলের সুপারিনটেনডেন্ট অজিত কুমারকে সাসপেন্ড করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কারাবন্দি মন্ত্রীর প্রতি ভিআইপি আচরণের অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে সত্যেন্দ্রর পা টেপানোর ভিডিয়ো নিয়ে তোলপাড় দিল্লির রাজনীতি। প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সত্যেন্দ্র জৈনকে পা, মাথা এবং পিঠে মালিশ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে আম আদমি পার্টি দাবি করে যে সত্যেন্দ্র জৈনের চিকিৎসার কারণে এই মালিশ দেওয়া হচ্ছে। তবে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সত্যেন্দ্রর।