বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহম্মদ বিন সলমন G-20 সম্মেলনে যোগ দিতে গত সপ্তাহে দিল্লি আসেন। অন্যদিকে তিনি ছিলেন ভারত সরকারের রাষ্ট্রীয় অতিথি। রবিবার দিল্লিতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন সমাপ্ত হওয়ার পরেও তাই তিনি থেকে গিয়েছিলেন ভারতে। মহম্মদ বিন সলমনকে সোমবার স্বাগত জানানো হয় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়।
নিয়ম অনুযায়ী এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রপতি ভবনে। এরপর নরেন্দ্র মোদির সাথে এক দফা বৈঠক করেন মহম্মদ বিন সলমন। জানা গিয়েছে, একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করতে চলেছে ভারত ও সৌদি আরব। সৌদি আরব (Saudi Arabia) প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আগামী দিনে ভারতে (India) ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার।
আরোও পড়ুন : জঙ্গলপ্রেমীদের জন্য সুখবর! খুলছে ডুয়ার্সের জাতীয় উদ্যানগুলি, সাফারির সময় মেনে চলুন এই টিপসগুলি
এই যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি হয়েছে সেই বিনিয়োগকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য। সৌদি যুবরাজ সলমন বৈঠকের পরে জানান, “ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপের মধ্যকার এই অর্থনৈতিক করিডোরকে আমরা বাস্তবের রূপ দেব। আমরা ভবিষ্যতের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি আজ।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকালের বৈঠকের পর বলেছিলেন, “সৌদি আরব ভারতের কৌশলগত পার্টনারদের মধ্যে অন্যতম। ভারত ও সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগামী ও বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। শান্তি ও উন্নয়নের জন্য এই দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশ মিলে শুরু করতে চলেছি ঐতিহাসিক করিডোর।”
আরোও পড়ুন : পুরীর মন্দিরে প্রবেশের নিয়মে পরিবর্তন! এবার এত টাকার টিকিট কেটে করতে হবে জগন্নাথ দর্শন
২০১৯ সালে সলমন ভারত সফরে এসে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন। বলা হয় এরমধ্যে ভারতের পশ্চিম উপকূলে একটি তেল শোধনাগার নির্মাণের জন্য খরচ করা হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে এই শোধনাগার তৈরির ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে কাজ এগোয়নি।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব আসুফ সাইদ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “ভারত ও সৌদি বদ্ধপরিকর এই তেল শোধনাগার তৈরির জন্য। কোভিডের কারণে বিগত বছরগুলিতে কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বিষয়টি দেখবে ও কাজ শুরু করবে।”