বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যা গেছে, তা গেছে। যারা আছে তাঁদের ধরে রাখাটাই বিজেপির কাছে এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। একদিকে তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র যখন বলছেন যে, বিজেপির একাধিক সাংসদ, বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তখন আরেকদিকে, বিজেপির বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূলকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন যে, ‘ওঁরা দল ভাঙিয়ে দেখাক।” তবে এই দল ভাঙনের রাজনীতির মধ্যে সবথেকে বেশী যেই নামটাকে নিয়ে চর্চা হচ্ছে, সেটা হল মুকুল রায় (Mukul Roy)।
দীর্ঘ ১১ বছর পর নির্বাচনে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয় হাসিল করেছেন মুকুল রায়। শেষবার তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করে হেরেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার বিজেপির হয়ে ময়দানে নেমে জয় পেয়েছেন। তবে জয় পাওয়ার পরেও স্বস্তি নেই। প্রতিদিনই তাঁকে নিয়ে নতুন নতুন জল্পনা সামনে আসছে। যদিও, এর আগে তিনি টুইটে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিলেন যে, তিনি বিজেপিতেই থাকবেন আর রাজ্যের অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ভাবে লড়াই লড়বেন।
কিন্তু, সেই কথার অনেক দিন কেটে গিয়েছে। বর্তমানে যা রাজনীতির অবস্থা, তাতে নেতা-নেত্রীরা আজকে এক কথা বলেন, কালই আবার সেই কথার উল্টো কাজ করেন। তাই একদা তৃণমূলের নাম্বার ‘টু” মুকুল রায়কে নিয়ে রাজ্যে রাজনৈতিক সাসপেন্স বজায় আছে। আর এরই মধ্যে তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়-এর একটি মন্তব্য নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি করেছে।
দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এদিন বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী যেমন দলত্যাগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছে, মুকুল রায় তেমন করেন নি।” স্বভাবতই সৌগত রায়ের এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য আরেক ‘রায়”কে নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু করে দিল। উনি এটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন যে, মুকুল রায় যদি তৃণমূলে ফিরতে চান, তাহলে ওনাকে বুকে টেনে নেবে সবাই।