বেশ কয়েকদিন ধরেই পার্ক সার্কাসে চলছিলো এনআরসি নিয়ে আ্ন্দোলন , তার মাঝেই আবার বিতর্কের সুর মিললো। কারন ওই আ্ন্দোলনকারিদের একজন মহিলা নাকি বহিরাগত।আর এই বহিরাগতদের মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে নানা কথা। বিজেপির একাংশের মতামত যে এদের মধ্যে অনেকেই বহিরাগত।
তারা বাংলাদেশ থেকে এসে বসে আছেন। এইনিয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন, তিনি বলেন “ভারতীয় মুসলমান হলে তার কোনও চিন্তার কারণ নেই, কিন্তু বাংলাদেশি মুসলমান হলে চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যাঁর কাজ বিভ্রান্তি দূর করা, তিনি এখন মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছেন । বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থী ও উদ্বাস্তু তাঁদের কোনও কাগজ না দেখেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে । এতে কোনও বিভ্রান্তি নেই ।”
এইভাবে এনআরসিতে বাংলাদেশের লোকজন এসে যোগ দেওয়ায় সেই নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানান এভাবে এনআরসি থামানো সম্ভব হয় না , বহিরাগতদের তাড়ানো হবেই এই দেশ থেকে। গত মাসের ৭ তারিখ থেকে পার্ক সার্কাস ময়দানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, নাগরিক পঞ্জিকরণ ও এনপিআর-এর বিরুদ্ধে গণঅবস্থান করে চলেছে মহিলারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্ক সার্কাসের গণ অবস্থানে হাজির হন পি চিদাম্বরম। কোনও রকম রাজনৈতিক পতাকা ছাড়াই বিক্ষোভ কর্মস্থলে হাজির হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
এনআরসি , সিএবি এই সকল বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষন দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। বিধান ভবনে ১৮০ জন কংগ্রেস কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেন পি চিদাম্বরম। এর আগেও তিনি বিজেপিকে নিয়ে নানান মত দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে এক থেকে দেড় কোটি বাংলাদেশি হিন্দু উদ্বাস্তু যেমন এসেছেন তেমনই এক থেকে দেড় কোটি বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীও এসেছেন । এই জল আর তেলের মিশ্রণটা দিদিমণি করতে চেয়েছেন । আমরা আলাদা করতে চেয়েছি । কারণ দেশটা ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল ।