বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিজের দল সম্পর্কে বিস্ফোরক উক্তি বিজেপি নেতার (BJP Leader)। এখন দল চালাচ্ছেন দলবদলুরা। বঙ্গ বিজেপিকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করছে তৃণমূল থেকে আসা নেতারাই। সিবিআই (CBI) এবং ইডি (ED) -র ভয় দেখিয়ে আরও তৃণমূল নেতাদের (TMC Leaders) ভাঙিয়ে দলে ভেড়ানোর চেষ্টাও চলছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে (JP Nadda) এমনই এক মারাত্মক চিঠি লিখলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
তবে ওই চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার না করলেও একেবারে অস্বীকারও করেননি সায়ন্তন। তিনি শুধু বলেন, ‘যাঁদের থেকে চিঠি হাতে পেয়েছেন তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন। আমি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্যই করব না।’ তবে রাজ্য বিজেপি সায়ন্তনের চিঠিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে রাজি নয়।
চিঠির শেষ দিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কেও কিছু মন্তব্য করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিরোধী দলনেতা-সহ দলের প্রবীণ সাংসদরাও এমন ভাবে শাসক শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ করছেন, যাতে মনে হচ্ছে, তৃণমূলেরই দুই শিবিরের মধ্যে লড়াই চলছে। এর পরেই বলা হয়েছে, বাংলায় দল মূলনীতি নিয়ে লড়াই করছে না। মানুষের কাছে এমন ধারণা তৈরি হচ্ছে যে, সিবিআই, ইডি-র সমনের ভয়ে আরও অনেকেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেবেন আগামী দিনে। রাজ্য বিজেপির উপরে মানুষের ভরসা কমছে। ‘দলবদলু’ তৃণমূল নেতারাই চালাচ্ছেন বিজেপি দলটাকে।
ওই ‘দলবদলু’ নেতা বলতে সায়ন্তন আদতে শুভেন্দুকেই বোঝাতে চেয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই চিঠি নিয়ে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে মারাত্মক জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে সায়ন্তনবাবু ওই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ঘটনা হল শুভেন্দু ছাড়া মোটামুটি তৃণমূল থেকে-আসা প্রায় সব নেতাই আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। শুধু শুভেন্দু স্বমহিমায় রয়ে গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি রাজ্য বিধানসভায় তাঁর ভূমিকা পালনও করছেন পুরোদমে। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে কতটা গুরুত্ব পাবে, তা নিয়ে সন্দিহান ওয়াকিবহাল মহল।