বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাঁকুড়া (bankura) বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের (tmc) হয়ে প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (sayantika banerjee)। ১লা এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে। কিন্তু ভোটের দিন সকাল সকাল চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন সায়ন্তিকা।
বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ১১৫ ও ১১৯ নম্বর মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের দুটি বুথের ইভিএম মেশিন সকাল থেকেই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে গিয়ে পৌঁছান সায়ন্তিকা। অভিযোগ জানানো হয় নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী।
মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য সকাল থেকে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে লাইনে। ইভিএম মেশিন খারাপ থাকায় শুরু করা যাচ্ছে না ভোটগ্রহণ। ফলে অনেকেই বাড়িমুখো হচ্ছেন আবার। পুরো বিষয়টাতেই চক্রান্তের গন্ধ পেয়েছেন সায়ন্তিকা। তাঁর দাবি, বাঁকুড়া স্ট্রং কেন্দ্র। এখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেতা নিশ্চিত। সেটা আটকাতেই চক্রান্ত করে এটা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রার্থী ঘোষনার পর সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয় বাঁকুড়ায়। তাঁকে ‘বহিরাগত’ তকমাও দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, বাংলার মানুষই তাঁকে অভিনেত্রী বানিয়েছেন। বাঁকুড়া কি বাংলার বাইরে।
বাঁকুড়ায় আসতেই সায়ন্তিকাকে দেখতে জড়ো হয় হাজারো মানুষ। এমন জনস্রোত দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন সায়ন্তিকা। ‘আওয়ারা’ ছবির জনপ্রিয় সংলাপ বলে আপন করে নেন উপস্থিত মানুষদের। এই ছবিতে জিতের জনপ্রিয় সংলাপের আদলে সায়ন্তিকা বলেন, ‘মার গুঁড় দিয়ে রুটি, চিনি দিয়ে চা। বিজেপি এখান থেকে তাড়াতাড়ি পাত্তাড়ি গোটা। খেলা হবে।’
এমনকি প্রচারে বেরিয়ে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে উপস্থিত হন সায়ন্তিকা। এই বাড়িতেই গত নভেম্বরে প্রচারে এসে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজ সারার পর বিভীষণ হাঁসদার সমস্যার কোনো কথাই শোনা হয়নি তাঁর।
বিভীষণ হাঁসদা ভেবে রেখেছিলেন হাই ব্লাড সুগারে আক্রান্ত মেয়ের চিকিৎসার বিষয়ে কথা বলবেন অমিত শাহের সঙ্গে। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। এরপর তৃণমূল বিজেপি দুই দলের তরফেই বিভীষণকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল মেয়ের চিকিৎসা হবে। কখনো করকাতার হাসপাতালে তো কখনো দিল্লির AIIMS এ। কিন্তু কাজে এখনো পর্যন্ত তা হয়নি।
প্রচারে এসে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি সেই বিষয়টাই টেনে আনেন সায়ন্তিকা। অভিনেত্রী দাবি করেন, ভোটে জিতলে বিভীষণ হাঁসদার মেয়ের চিকিৎসার দায়ভার নেবেন তিনি। সায়ন্তিকা বলেন, “বাঙালিরা আতিথেয়তা করতে জানে। ওরা এসে আতিথ্য গ্রহণ করেছেন আবার চলেও গিয়েছেন। কিন্তু আমরা বাংলার মেয়ে, আমরা এখানেই থাকব।”