বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশজুড়ে সেঞ্চুরি করেছে পেট্রোল। পেট্রোপণ্যের চরম মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় মধ্যবিত্তের। এর মাঝে একটু আশার আলো দেখা গিয়েছিল। পেট্রোল ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু জল পড়েছে সে আশায়। এখনি জিএসটির অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না পেট্রোপণ্য, জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
কিন্তু পেট্রোলের দাম বাড়ায় ট্রোলের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (sayantika banerjee)। কিন্তু পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে অভিনেত্রীর কী সম্পর্ক? বিষয়টা খোলসা করেই বলা যাক। জনৈক নেটনাগরিক সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ই চালানের ছবি শেয়ার করেছেন। সায়ন্তিকার ব্যক্তিগত গাড়ির ই চালান সেটি, যেখানে দেখা যাচ্ছে গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষার সার্টিফিকেট, ইনস্যুরেন্স সহ বেশ কিছু গণ্ডগোল রয়েছে।
রাজকুমার দত্ত রাজা নামে ওই ব্যক্তি ফেসবুকে দুটি ছবি শেয়ার করেছেন। একটিতে একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ির সামনে পোজ দিয়েছেন সায়ন্তিকা। অপর ছবিটিতে সেই গাড়িরই একটি ই চালানের ছবি। সেখানে গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষার সার্টাফিকেটের জায়গায় দেখা যাচ্ছে সেটি উপলব্ধ নয়। ইনস্যুরেন্স পলিসিও ২০১৯ সালেই এক্সপায়ার করে গিয়েছে।
ছবি দুটি শেয়ার করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। মধ্যবিত্তের পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। উপরন্তু কাগজপত্রের গোলমাল থাকলে পুলিসি অত্যাচার তো রয়েছেই। অথচ তারকারা লক্ষ কোটি টাকার গাড়িতে তেল ভরে ঘুরছেন অনায়াসে যেখানে তাঁদের কাগজপত্র ফেল। প্রশাসনের চোখ কেন এড়িয়ে যাচ্ছে এটা? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তবে এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট।
বিধানসভা নির্বাচনে হলফনামা জমা দেওয়ার সময়েই জানা গিয়েছিল বাজারে বিভিন্ন বিষয়ে লক্ষাধিক টাকা ঋণ রয়েছে সায়ন্তিকার। অথচ তিনিই কয়েক বছর আগে একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ কেনেন যার দাম প্রায় ৪৩ লক্ষ টাকা। এই গাড়ি কিনতে গিয়ে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কে ১৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৯১ টাকা গাড়ি ঋণ নিয়েছেন সায়ন্তিকা। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ১৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৮ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ নিয়েছেন।