বাংলাহান্ট ডেস্ক: আপনার কি ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কে (State Bank of India) অ্যাকাউন্ট আছে? আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে কি টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে? এই সংক্রান্ত কোনও মেসেজ পেয়েছেন? তাহলে এই খবরটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইদানিং বহু স্টেট ব্যাঙ্কের গ্রাহক জানিয়েছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪৭.৫০ টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ পাঠিয়েছে ব্যাঙ্ক। এটি কোনও ভুয়ো মেসেজ নয়। সত্যিই ব্যাঙ্কের তরফে এমন মেসেজ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেন এভাবে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে? কী জানাচ্ছে ব্যাঙ্ক?
স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, গ্রাহকদের মধ্যে যাঁদের কাছে ডেবিট কার্ড আছে, কেবল তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকেই এই টাকা কাটা হচ্ছে। ডেবিট কার্ডের রক্ষণাবেক্ষণের চার্জ বাবদ এই টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক। প্রতি বছরই গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে এই চার্জ কেটে নেওয়া হয়। নিজেদের টুইটার হ্যান্ডেলে এই তথ্যটি দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে টুইট করা হয়েছে এ বিষয়ে। তারা জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের চার্জ হিসেবে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৪৭.৫০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। প্রতি ডেবিট কার্ড পিছু বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের চার্জ হল ১২৫ টাকা। তার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসিয়ে মোট ১৪৭.৫০ টাকা দিতে হয় গ্রাহকদের। কোনও গ্রাহক যদি ডেবিট কার্ড পাল্টাতে চান, তাহলে তাঁকে ৩০০ টাকা এবং জিএসটি দিতে হয়। ডেবিট কার্ডের এই বার্ষিক খরচ বেশিরভাগ ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই এক।
এছাড়াও আরও একটি কারণে টাকা কাটতে পারে স্টেট ব্যাঙ্ক। গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকায় এটিএম লেনদেন ব্যর্থ হলে ২০ টাকা জরিমানা বাবদ দিতে হয়। পাশাপাশি এর উপর আলাদা করে জিএসটি বসানো হয়। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কও এই খাতে জরিমানা নেয়।
গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকার ফলে লেনদেন ব্যর্থ হলে ২০ টাকা ও জিএসটি দিতে হয়। তবে এই জরিমানা এড়াতে পারেন গ্রাহকরা। এর জন্য তাঁদের মিসড কল ও এসএমএস-এর মাধ্যমে ব্যালেন্স জানার সুবিধা দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। এছাড়াও এটিএম থেকে টাকা তোলার আগে ব্যালেন্স জেনে নিলেও এই জরিমানা এড়ানো সমব হয় গ্রাহকদের পক্ষে।