বাংলায় বেহাল শিশু শিক্ষা! ২৪ বছর আগে চালু হওয়া স্কুল হয়ে গেল বন্ধ, প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্কুলে ছিলেন একজন মাত্র শিক্ষিকা। তিনি অবসর নেওয়ার পর বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল। পড়ুয়ারাও আসছে না স্কুলে। অভিভাবকদের আশঙ্কা এই মুহূর্তে যদি স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা না হয় তাহলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে স্কুল। গ্রামের বাসিন্দারা তাই এই স্কুলে দ্রুত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের দাবি তুলেছেন।

যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই স্কুলে আর নিয়োগ করা হবে না কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাই রীতিমতো পঠন-পাঠন স্থগিত হয়ে গেছে হুগলির হরিপালের কৃষ্ণপুর বেলেরপাড় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। এই স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা অবসর নিয়েছেন গত ৩১শে ডিসেম্বর। তাই নতুন বছর থেকেই পড়াশোনার পাট চুকে গেছে ওই স্কুলে।

আরোও পড়ুন : বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগে নয়া মোড়! CID’র জালে এবার প্রধান শিক্ষক, প্রাক্তন DI

এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই হতদরিদ্র। এই গ্রামের মানুষদের সামর্থ্য নেই পরিবারের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করার। সেক্ষেত্রে এই স্কুলটি ছিল গ্রামের মানুষদের একমাত্র ভরসা। তাই অনেকেই আশঙ্কা করছেন পুরোপুরিভাবে স্কুল বন্ধ হলে স্কুল ভবন পরিণত হতে পারে দুষ্কৃতীদের আখড়ায়। সংগঠিত হতে পারে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম।

আরোও পড়ুন : ছোট কাজ করলে পাঠাবেন না ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট! বিতর্কিত মন্তব্য WBCS অফিসারের, তোলপাড় শুরু হতেই যা করলেন…

ফলে, চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে এলাকাবাসীদের। গ্রামবাসীদের দাবির পরেও জেলা প্রশাসন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হবে না এই স্কুলে।  জেলা প্রশাসন আশ্বাস দিয়ে বলেছে এই স্কুলের পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করা হবে। এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি শিশু শিক্ষা মিশনের কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৯৯৭-৯৮ সালে চালু হয়।

School closed

বামফ্রন্ট সরকারের উদ্যোগে বুনিয়াদি স্তরে শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে চালু হয় এই ধরনের শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। এসএসকেগুলিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পড়ানো হয় প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত। হরিপালের কৃষ্ণপুর গ্রামের এসএসকে-টি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই স্কুলে এক জন শিক্ষিকা ও দুজন শিক্ষা কর্মী ছিলেন।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর