SSC ইস্যুতে ফের মামলা! কি আছে চাকরিপ্রার্থীদের ভাগ্যে?

Published on:

Published on:

ssc(9)
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি’র ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে সেই তালিকা প্রকাশে আপত্তি। তাই হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি (SSC)।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম দুয়ারে কমিশন | SSC

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দরবারে এসএসসি। উল্লেখ্য, গত ৩রা ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার বিরোধীতা করেই কমিশন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। গত বুধবার ২০১৬ সালের গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি ‘আনটেন্টেড’-দের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

আসলে ‘যোগ্য’ প্রার্থী বলতে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত ‘দাগি’ ছাড়া যাঁরা আছেন, তাঁদের নাম প্রকাশ করার কথা বলে হাইকোর্ট। এসএসসি সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ, আগামী ৮ ডিসেম্বরের আগে বিস্তারিত তথ্য-সহ এই গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি ‘আনটেন্টেড’ অর্থাৎ যাঁরা দাগি নন, তাঁদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশই মানতে নারাজ কমিশন। তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ তারা। উল্লেখ্য, নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জানিয়েছিলেন, যাঁরা যোগ্য প্রার্থী, তাঁরা যেন বয়সের ছাড় পেয়েই নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদনের সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতেই এই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, প্রথমে বলা হয়েছিল ৩ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। সম্প্রতি আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে এসএসসি। জানানো হয়েছে, ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এদিকে ৮ ডিসেম্বরের আগেই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কমিশন। এবার ডেডলাইনের আগে সুপ্রিম কোর্ট কোনো নির্দেশ দেয় কি না, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

SSC

আরও পড়ুন: আজই BJP-তে যাচ্ছেন তৃণমূলের প্রাক্তনী রাজন্যা-প্রান্তিক? জল্পনার মাঝেই মুখ খুলে বললেন, রাজনীতিতে…

৫ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) ফাইল করেছে কমিশন। ডায়রি নম্বর ৭০১৬৯/২০২৫ হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে মামলাটি। প্রসঙ্গত, নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর বিভাজন এবং প্যানেলের মেয়াদ নিয়ে জটিলতার মধ্যেই নতুন মামলা প্রক্রিয়াটিকে আরও দীর্ঘায়িত করতে পারে বলে মত আইনজীবী মহলের।