গরমের চোটে শীঘ্রই এগিয়ে আসবে স্কুলের সময়! মর্নিং স্কুল নিয়ে বোর্ডের কাছে চিঠি

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সমানে তাপমাত্রা বাড়ছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও লম্বা লাফ দিয়েছে তাপমাত্রার পারদ। জুনের শুরু থেকেই এই অবস্থা। এদিকে এরই মধ্যে গরমের ছুটি (Summer vacation) শেষ হয়ে খুলে গিয়েছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল (School Timing)। যদিও গরমের ছুটি শেষ হলেও গরম কমেনি। উল্টে গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা বেড়ে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে।

এগিয়ে আসবে স্কুলের সময়? School Timing

দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। এই আবহে পড়ুয়াদের নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের স্বস্তি দিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ মর্নিং স্কুল অর্থাৎ স্কুলের টাইমিং এগিয়ে আনার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে এ নিয়ে সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক সংশ্লিষ্ট বোর্ডে চিঠি দিয়েছেন। যত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

বর্তমান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, গরমের দাপটের মধ্যে পড়ুয়াদের শরীরের কথা মাথায় রেখে বোর্ডের কাছে মর্নিং স্কুল চালু করার লিখিত প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বোর্ড অনুমতি দিলে বীরভূম জেলাজুড়ে স্কুলের সময় এগিয়ে আনা হবে।

আরও পড়ুন: ‘কাজল আমার পা ধরে পড়ে থাকত’! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ শুভেন্দুর

উল্লেখ্য, বীরভূমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৪০১টি। সব স্কুলেই ফ্যানের বন্দোবস্ত থাকলেও তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে পড়ুয়াদের। তাপমাত্রাপ স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়েছে গত কয়েকদিনে। আগামী দিনও আবহাওয়া একই রকম থাকবে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের একটু স্বস্তি দিলে স্কুলের সময় এগিয়ে আনার প্রস্তাব।

ভিডিও দেখুন:https://youtu.be/QMqVPtvLFkA?si=LqACjFKJlCzMChlS

শিক্ষকদের আশঙ্কা অসহ্য গরমে পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। মর্নিং স্কুল চালু হলে অনেকটাই সমস্যা কমবে। বোর্ডের তরফে খুব শীঘ্রই মর্নিং স্কুলের অনুমোদন মিলবে বলে আশা শিক্ষকদের। স্কুলের সময় এগিয়ে আসলে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা আর শনিবার, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ক্লাস করানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।